বগুড়া মহাস্থানগড়
মহাস্থানগড় হলো বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, যা পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত। এটি বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা ও প্রমাণচিত্রকরণ স্থান হিসেবে পরিচিত। এই নগরীতে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। পুরাতন কালে মহাস্থানগড় বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এই ঐতিহাসিক স্থানটি মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো। তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্ব হতে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত অনেকগুলি হিন্দু রাজা এবং অন্যান্য ধর্মের রাজা এখানে শাসন করেছিলেন।
২০১৬ সালে, মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিলো। এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নতি পাচ্ছে এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করে এমন একটি স্থান এটি।
মহাস্থানগড়ের আবস্থানের পশ্চিমে করতোয়া নদী প্রবাহিত এবং এই নদীর তীরে মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
নওগাঁ পাহাড়পুর ও কুসুম্বা মসজিদ
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত যেটি বাংলাদেশে অবস্থিত একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। এই বিহারটি পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষে বা নবম শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই বিহারটি স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম একজন ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং প্রবন্ধকার দ্বারা ১৮৭৯ সালে আবিষ্কৃত হয়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারটি দক্ষিণ হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার হিসাবে ইউনেস্কো দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। এর আয়তন ভারতের নালন্দা মহাবিহারের সাথে তুলনীয়। পাহাড়পুর বিহারটি ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে বৌদ্ধদের জন্য গুরুশিক্ষা এবং ধর্মপ্রচারের একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশগুলো থেকে বৌদ্ধ শিষ্যগণ আসতেন এবং ধর্মজ্ঞান অর্জন করতেন। খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য হিসেবে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অধ্যাপনা করতেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারটি ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পেয়েছে।
কুসুম্বা মসজিদ একটি প্রাচীন মসজিদ যা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত। এই মসজিদটি কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের পাঁচ টাকার আগের নোটে এটিকে দেখানো হয়েছিলো। মসজিদের প্রবেশদ্বারে ফলকের একটি অংশে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সালে (১৫৫৮-১৫৬৯ খ্রিষ্টাব্দ)। এটি আফগানি শাসনামলের শুর বংশের শেষদিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে একজন এটি নির্মাণ করেছিলেন।
মসজিদটির তিনটি গম্বুজের ক্ষতি হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে। এরপর সেগুলি পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছিলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নির্দেশনায়। ২০১৭ সালে মসজিদের চতুর্দিক ও পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত দিঘির পাড়ে ফুলের বাগান নির্মাণ করা হয়েছে এবং আলোকসজ্জা কাজ করা হয়েছে।
পুঠিয়া রাজবাড়ি ও হাওয়াখানা
পুঠিয়া রাজবাড়ী মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এটি রাজশাহীর প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম। ১৮৯৫ সালে মহারাণী হেমন্তকুমারী দেবী ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতিতে আয়তাকার দ্বিতল রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন।
পুঠিয়া রাজবাড়ীটি রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নাটোর মহাসড়ক অভিমুখে বাঘা-পুঠিয়া জেলা সড়কের পাশে অবস্থিত। বাস বা গাড়ির মাধ্যমে দেশের যে কোন স্থান থেকে পুঠিয়ায় যাওয়া যায়।
পুঠিয়া হাওয়াখানাও একটি অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা যা রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। এটি পুঠিয়ার ১৭টি পুরাকীর্তির মধ্যে একটি। পুঠিয়া উপজেলা সদরের রাজপ্রাসাদ থেকে ৩ কিলোমিটার এবং পুঠিয়া বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে তারাপুর গ্রামে এটি অবস্থিত। এই দ্বিতল ভবনটি একটি বিশাল পুকুরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।
নাটোর রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন
নাটোর রাজবাড়ি নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি রাজবাড়ি, যা নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন। এটি ১৭০৬-১৭১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। রাজবাড়ির মোট আয়তন ১২০ একর। এটিতে ছোট-বড় সহ মোট ৮টি ভবন রয়েছে। এছাড়াও দুটি গভীর পুকুর এবং পাঁচটি ছোট পুকুর রয়েছে। রাজবাড়িটি বেষ্টন করে আছে দুই স্তরের বেড়চৌকি। পুরো এলাকাটি ২টি অংশে বিভক্ত হয়েছে – ছোট ও বড় তরফ।
দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী, পরিচিত হয়ে থাকে উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস নামে। এটি আঠারো শতকে নির্মিত একটি মহারাজাদের বাসস্থান ছিলো। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দয়ারাম রায় ছিলেন, যিনি নাটোর রাজের রাজা রাম জীবনের দেওয়ান ছিলেন। ১৭৩৪ সালে দয়ারাম রায় প্রায় ৪৩ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া প্রাসাদের মূল অংশ এবং কিছু সংলগ্ন ভবন নির্মাণ করেন। এটি বাংলাদেশের নাটোর শহরে অবস্থিত। এটি নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে দিঘাপাতিয়া রাজবাড়িকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করা হয়েছিল।
বাঘা মসজিদ
বাঘা মসজিদ রাজশাহী জেলা সদর থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। মসজিদটি সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ একজন মুসলিম বাদশাহ দ্বারা ১৫২৩ খ্রিষ্টাব্দে (৯৩০ হিজরি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার করা হয়েছে এবং ১৮৯৭ সালে মসজিদের গম্বুজগুলো ভেঙ্গে নতুন ছাদ দেওয়া হয়েছে। মসজিদটির ২৫৬ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। মসজিদে মোট ১০টি গম্বুজ এবং ৬টি স্তম্ভ রয়েছে। এছাড়াও মসজিদটিতে ৪টি মেহরাব ও একটি শিলালিপি রয়েছে। মসজিদটির গাঁথুনি চুন-সুরকি দ্বারা নির্মিত হয়েছে এবং ভেতরে ও বাইরে মেহরাব ও স্তম্ভ রয়েছে। বাঘা মসজিদের দৈর্ঘ্য ২২.৯২ মিটার, প্রস্থ ১২.১৮ মিটার এবং উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর দেয়ালের উচ্চতা ২.২২ মিটার পুরু। মসজিদটিতে সর্বমোট ১০টি গম্বুজ, ৪টি মিনার এবং ৫টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। বাসযোগে রাজশাহী থেকে বাঘা যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
সোনা মসজিদ
ছোট সোনা মসজিদ একটি প্রাচীন মসজিদ যা বাংলাদেশের গৌড় নগরীর উপকণ্ঠে পিরোজপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়ে। এই মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনকালে (১৪৯৪-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দ) নির্মিত হয়েছিলো। মসজিদটির মাঝের দরজার উপরে একটি শিলালিপি রয়েছে, যা এ মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
ছোট সোনা মসজিদটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরি হয়েছে এবং এর বাইরের দিকে সোনালি রংবিশিষ্ট একটি আস্তরণ ছিলো। যখন সূর্যের আলো পড়তো, তখন আস্তরণটি সোনার মতো ঝলমল করতো। আগে গৌড় নগরীতে আরেকটি মসজিদ ছিলো, যা বড় সোনা মসজিদ নামে পরিচিত ছিলো। এটি সুলতান নুসরত শাহের সময়ে নির্মিত হয়েছিল এবং এটির আকার একটু বড় ছিলো। তাই স্থানীয় লোকজনরা এটিকে “ছোট সোনা মসজিদ” বলে চিহ্নিত করতেন, এবং গৌড় নগরীর মসজিদটিকে “বড় সোনা মসজিদ” বলতেন।
রাজশাহী কলেজ
রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকা কলেজ এবং চট্টগ্রাম কলেজের পরে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহী কলেজের ভবনগুলো বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ। কলেজের ঐতিহাসিক ভবনের কথা উঠতেই চলে আসে প্রশাসনিক ভবনের নাম। ১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয় এ ভবন যা এটি ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের অন্যতম নির্দশন। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিতল এ ভবনটির চুঁড়ায় এক সময় ছিল রোমান পুরাণের জ্ঞান ও চারুশিল্পের ভাস্কর্য প্যালাস-অ্যাথিনি। পরে আরও দুটো ভাস্কর্য হেমন্ত কুমারী ছাত্রাবাসে স্থাপিত হয় একই আদলে। এই চারটি ভাস্কর্যই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাক বাহিনীর দোসরদের চাপে ধ্বংস হয়।
প্রশাসনিক ভবনটির ডান পাশে রয়েছে শহীদ মিনার। শহীদ মিনার পেরিয়ে এবার বামে গেলে চোখে পড়বে প্রশাসন ভবনের আদলেই গড়া আরেক ঐতিহাসিক ভবন। ভবটির সিঁড়ির ওপরে সাদার ওপরে কালো হরফে লেখা ‘হাজী মুহম্মদ মুহসীন’। এটি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন ভবন নামে পরিচিত। এই ভবনটি ১৮৮৮ সালে নির্মিত হয়েছে এবং তখন হাজী মুহম্মদ মুহসীন এটির নির্মাণে আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন। এটি প্রাচীন মাদরাসা ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পরে এটি কলেজের ভবন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন ভবন থেকে দক্ষিণের পথে এগুলে দূরে চোখ চলে যায় আরেকট প্রাচীন লাল দালানে যার ১৬৫ ধাপ সিঁড়ি পর্যন্ত রয়েছে। ওপরে তাকাতেই সাদা কালো ইংরেজি ও বাংলায় লেখা ফুলার ভবন, যা শত বছর পেরিয়েছে।
মাঠের একেবারেই দখিনে গেলে পাওয়া যাবে কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের দোতলা বাসভবন। এই ভবনটিতে উপ-মহাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদগণ বসবাস করে গেছেন। এটিও নির্মিত হয়েছে ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলিতে।
রাজশাহী কলেজের ভবনগুলো একাধিক প্রাচীনতা ধারণ করে এবং এগুলি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে। ভবনগুলো রাজশাহী কলেজের ঐতিহাসিক পরিচয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি রেলসেতু। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে পরিচিত। এই সেতুটি পাবনা জেলার পাকশি রেলস্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপর অবস্থিত। এই সেতুর নির্মাণকাল ছিল ১৯০৯-১৯১৫। এটি তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নামে পরিচিত হয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১,৭৯৮.৩২ মিটার বা ৫৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার। এর উপর দুটি ব্রডগেজ রেললাইন রয়েছে।
পুলিশ একাডেমি
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি হল উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি রাজশাহী শহর থেকে ২০ মাইল দূরে পদ্মা নদীর পূর্ব পাড়ে চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক এই একাডেমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই সম্পত্তির আয়তন প্রায় ১৪২.৬৬ একর। এই জমি ব্রিটিশ সরকার ১৯১০ সালে ২৫,০০০ টাকায় ক্রয় করে। পুলিশ অফিসার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মেজর এইচ চামনীর প্রতিষ্ঠার কাজটি শুরু হয়। ১৯১২ সালের জুলাই মাসে একাডেমির প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২০ মাইল পূর্বে পদ্মাপাড়ের সারদাহের বড়কুঠি ব্যবহার হয় অফিসার্স মেস হিসেবে এবং ছোটকুঠি হলো প্রিন্সিপালের বাসভবন। এছাড়াও অন্যান্য প্রাচীন ইমারতগুলি রয়েছে।
পতিসর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি
পতিসর রবীন্দ্র কাছারি বাড়িটি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় অবস্থিত একটি মানচিত্রিত ঐতিহাসিক স্থান। এই বাড়িটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান এবং বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। বাড়িটি নাগর নদীর তীরে অবস্থিত উপজেলার পতিসর নামক গ্রামে অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ ও জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য দ্বারকানাথ ঠাকুর দ্বারা এই জমিদারি সম্পর্কে দেখাশোনার জন্য ১৮৩০ সালে কেনা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বেশ কিছু কাব্য, গল্প এবং প্রবন্ধ রচনা করেন। পতিসরে তাঁর ‘গোরা’ ও ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস এবং ‘বিদায় অভিশাপ’ কাব্য রচনা করেন। বাড়িটির পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবার কর্তৃক স্থাপিত বেশ কিছু স্মৃতিস্থল রয়েছে। পতিসরের মধ্যে দোতলা কুঠি এবং বেশ কিছু অপূর্ব স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও বাড়িটির পাশে একটি পুকুর রয়েছে। এখানে একটি আবক্ষ মূর্তি ও একটি প্রবেশপথ রয়েছে।