বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মহানগরী রাজশাহী, যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম সবজায়গাতেই রয়েছে। আর এই সুন্দর শহরে রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। গুগল ম্যাপসের তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী এক্সপ্রেস পাঠকদের জন্য কিছু পুরোনো ও নতুন রেস্টুরেন্ট নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হলো।
মাস্টারশেফ (বাংলা) – মাস্টারশেফ নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন ধরনের সব স্বুসাদু বাংলা খাবার পাওয়া যায়। এখানকার গুরুর মাংস, হালিম, নান গ্রিল, মোগলাই উল্লেখযোগ্য।
নানকিং – নানকিং সিএন্ডবি মোড়ে অবস্থিত যার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে। এখানে উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে ফ্রাইড রাইস, বিভিন্ন ধরনের চিকেন পাশাপাশি থাই স্যুপ।
মাস্টারশেফ (চাইনিজ) – রাজশাহীর অলোকার মোড়ে অবস্থিত এই মাস্টারশেফের যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। এদের সব খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় হিসেবে রয়েছে হায়দ্রাবাদ বিরিয়ানি, গ্রিল, কাশ্মীর নান এছাড়াও কিছু সেট ম্যেনু।
গ্র্যান্ড রিভারভিউ হোটেল – রাজশাহীর কাজিহাটায় গ্র্যান্ড রিভারভিউ হোটেল অবস্থিত। ইন্ডিয়ান উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে কাবাব, হায়দ্রাবাদ বিরিয়ানি, বাংলার মধ্যে রয়েছে বোয়াল, ইলিশ মাছসহ মাংস। এখানে চাইনিজ খাবার রয়েছে। বর্তমানে ব্যুফে চালু আছে কেবল শুক্রবারে।
কাচ্চি ভাই – সম্প্রতি রাজশাহীতে চালু হওয়া কাচ্চি ভাই নিউমার্কেটের বিপরীতে অবস্থিত। এখানে কাচ্চির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে বোরহানি, বাদাম শরবত।
হাংরি হিরোস – বার্গারের জন্য বিখ্যাত হাংরি হিরোস নগরীর রাণীবাজারের শহীদুল্লাহ টাওয়ারে অবস্থিত। এখানে গার্লিক, চিজ, বিবিকিউ, নাগা বিভিন্ন ধরনের বার্গার জনপ্রিয়।
কোড থ্রি – ছয় বছর আগে যাত্রা শুরু হওয়া কোড থ্রি রাণীবাজারে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে কালাভুনা, মিক্স চওমিন, চিকেন ললিপপ, পাস্তা। এছাড়াও এখানে অধিক জনপ্রিয় স্মোক স্যান্ডউইচ।
ক্যালিস্টো – রাজশাহীর রাণীবাজারে অবস্থিত ক্যালিস্টোর যাত্রা শুরু হয় বছর পাঁচেক আগে। তাদের খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে পাস্তা, স্যান্ডউইচ, চিপসি চিকেন ফ্রাই। এছাড়াও রয়েছে কিছু সেট মেনু।
হাইডআউট ক্যাফে – ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা হাইডআউট ক্যাফে নিউমার্কেট রোডের সুলতানাবাদে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে চওমিন, সম্প্রতি চালু করা ক্রিমি চিকেন, ফ্রাইড রাইস, থাই স্যাুপ।
রহমানিয়া – ১৯৪৭ সালে যাত্রা শুরু করা হোটেল রহমানিয়া নগরীর গণকপাড়ায় অবস্থিত। মূলত বাংলা খাবারের জন্য অধিক জনপ্রিয় এ হোটেলটি। উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে গরু ও খাসির মাংস।
মেমোরি – ২০০০ সালের আগে যাত্রা শুরু করা হোটেল মেমোরি বাজারের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত। বর্তমানে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে খাবারের এ হোটেলটি। উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে গরু ও মুরগির মাংস পাশাপাশি সন্ধ্যার বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া।
মাইডাস – নগরীর সুলতানাবাদে অবস্থিত মাইডাস রেস্টুরেন্ট। উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে থাই স্যুপ, হায়দ্রাবাদ বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, চিকেল মাশালা।
নর্থ বার্গ – সাগরপাড়ার রেশমপট্রিতে অবস্থিত নর্থ বার্গ। উল্লেখযোগ্য খাবার হিসেবে রয়েছে মমো মন্টোরিয়ান, চওমিন, বার্গার এছাড়াও রয়েছে ফ্রাইড রাইসের প্যাকেজ।
প্রিয় পাঠক, উপর্যুক্ত রেস্টুরেন্ট ছাড়াও রাজশাহীতে আরও অনেক প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করা হয়েছে, যা কোনো র্যাংক বা গুণগতমান প্রকাশ করে না।