তীব্র যানজট না থাকলেও সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল মোড় হয়ে ঘুড়কা পর্যন্ত রয়েছে এই ধীরগতি। কখনো কখনো ৫ থেকে ১০ মিনিটের যানজটও দেখা দিচ্ছে। তবে পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে দ্রুতই যানজট নিরসন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকাল থেকে এই মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর থেকেই যানবাহনের গতি কমছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ নলকা ও হাটিকুমরুল এলাকায় ধোপাকান্দি সেতুর উপর এসে গাড়ির গতি এমনিতেই কমে যাচ্ছে। এতে করে এ অঞ্চলে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে নলকা, পাচলিয়া ও হাটিকুমরুল এলাকায় পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার ও বগুড়া মহাসড়কে আরও ৭ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতিতে চলছে গাড়িগুলো। কখনও যানজট আবার কখনো একেবারে শ্লথগতিতে চলছে যানবাহন।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নজমুল হোসেন বলেন, গতকাল গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে। এ কারণে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষবাহী যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। এ কারণে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন সকাল থেকেই কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে বড় কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, সেতুর পূর্বপারে তীব্র যানজট রয়েছে। তার প্রভাব সকালে সেতুর পশ্চিম প্রান্তেও যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ওই যানজট নিরসন হলেও মাঝে মধ্যে ধীরগতি রয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর