দুই ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসা নিয়ে নাটক করেছেন প্রতারক বয়ফ্রেন্ড। প্লেবয় স্টাইলে দুইজনের সঙ্গেই মিচ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে গভীর সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। রুম ডেটিংয়ের নামে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে বিয়েতে তার ঘোর আপত্তি। প্রেম করা যাবে বিয়ে নয়।
তাই বিয়ের দাবি নিয়ে যখন এক গার্লফ্রেন্ড ওই প্রতারক বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে অনশনে বসলেন তখন তিনি আরেক ছাত্রীকে নিয়ে অভিসারে বের হয়ে গেলেন। মাদ্রাসা ছাত্রী রুনা লাইলাকে নিয়ে পালিয়ে যান মিজানুর নামে ওই প্রতারক।
বিষয়টি পরে জানতে পেরে রুনা লাইলার বাবার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার প্রতারক মিজানুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুরে।
সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ে ওই তিন প্রেমিকযুগলকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আনেন। তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর কালিগঞ্জ গ্রামের মাহালালের ছেলে মিজানুর রহমান গত ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রীর সঙ্গে। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে মেয়েটি বিয়ের চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করে মিজানুর। বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী শনিবার বিকেলে মিজানুরের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। এই অবস্থার মধ্যেই গত রোববার বিকেলে মিজানুর পালিয়ে যান তার অপর গার্লফ্রেন্ড মাদ্রাসাছাত্রী রুনা লাইলার সঙ্গে।
পরে রুনা লাইলার বাবা মিজানুরের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ তুলে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সোমবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার দাদনচক মোড় থেকে মিজানুর ও রুনা লাইলাকে আটক করে।
এদিকে মিজানুরের নাচোল উপজেলায় অবস্থান করা অপর প্রেমিকা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন মিজানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য। সে কারন হিসেবে জানায় মিজান তারও বয়ফ্রেন্ড!
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম