বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বেপরোয়া হিজড়ারা বর কনেকে জিম্মি করে বরের বাবা হামিদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এ সময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে বর শাহিনুর ও বরের বাবা আবদুল হামিদ আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাড়িদহ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিজড়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিয়ে বাড়ি, নবজাতক শিশু জন্ম নেয়া পরিবার ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে। এর প্রতিকার না হওয়ায় দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুপুরে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে শাহিনুর রহমানের বিয়ে শেষে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে উঠার সময় হিজড়ারা বাড়ির প্রধান গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেয়ায় তারা বর শাহিনুর রহমান ও তার বাবা আবদুল হামিদকে মারপিট করে এবং ঘরের জানালা ভাংচুর করে। হিজড়াদের এমন তাণ্ডব দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানা পুলিশ তাদের নিয়ে আসে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গেছে।
একই দিনে পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকায় পৌরপার্ক সংলগ্ন সৌমিত্র স্যান্যালের ছেলে লব স্যন্যালের বৌভাতের অনুষ্ঠানে দুপুর ১২টার দিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন হিজড়া গিয়ে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা ও দামি-দামি শাড়িসহ চাল-ডাল দাবি করেই বাড়ির ভিতরে নারী-পুরুষের সামনে সম্পূর্ণভাবে নগ্ন হয়।
চাঁদার টাকা না পেয়ে বরের কাকা রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সঞ্জয় স্যান্যাল চন্দনের গলায় দা-বঁটি ঠেকিয়ে তাদের ভয়-ভীতি দেখালে তাদের ৫ হাজার টাকা, দামি ১টি শাড়ি ও চাল-ডাল দিয়ে তাদের হাত থেকে রেহাই পায়।
এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, হিজড়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। তাদের বেহায়াপনা ঘটনার কথা শোনামাত্র গ্রেফতারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ যুগান্তর