চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে আশ্রয় নেওয়াদের সংখ্যা। সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত ৩০০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এছাড়া বিদেশ থেকে আসা সব পাসর্পোটধারীদের স্বেচ্ছায় দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে দেশে আসাদের সবার পূর্ণাঙ্গ নাম-পরিচয় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে রোববার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে ভারতের মোহদীপুর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসর্পোটধারী সব ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিলেও স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলার সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী সব পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও এর সহকারীদেও (হেলপার) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া রহনপুর শুল্ক স্টেশনে ভারত থেকে আসা ট্রেনচালক, সহকারী ও ব্যবস্থাপকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে অস্থায়ী মেডিক্যাল টিম।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দু’জন নেপালি শিক্ষার্থী, ৪০ জন ভারতীয় এবং ২৫৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টির্চাস ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের একটি ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে গত ১৪ মার্চ থেকে ভারতের ভিসা স্থগিত ঘোষণার পর ১৫ র্মাচ দুপুরের দিকে সব পাসর্পোটধারী যাত্রীদেরও পারাপার বন্ধ করে দেয় ভারতের মোহদীপুর ইমিগ্রেশন সেন্টার। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
এদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সর্তকর্তা। শ্রমিকদেরও সুরক্ষার জন্য বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে রাখা হয়েছে সাবান ও জীবানুনাশক তরল উপকরণসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ