সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগেও দিন দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সরকারি হিসেবে এরই মাঝে এ বিভাগে করোনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, করোনায় রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বগুড়ায়। পুরো বিভাগের মধ্যে এ জেলাতেই করোনায় সর্বোচ্চ ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপরই আছে পাবনা জেলা। উত্তরের এ জেলায় করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এছাড়া রাজশাহী, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন করে। নাটোরে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
এছাড়া গত ১২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে নওগাঁর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। এ জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর হিসাব মেলেনি। ওই ব্যক্তিসহ বিভাগে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩১।
সূত্র জানায়, রোববার (১৫ জুন) রাজশাহী বিভাগে নতুন করে আরও ২৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০৮ জন।
মৃত্যুর পাশাপাশি করোনা শনাক্তেও শীর্ষে বগুড়া। মোট শনাক্তের মধ্যে এ জেলারই আছেন ১ হাজার ৩৭৭ জন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়পুরহাটে ২৩০ জন। এরপর নওগাঁয় ২২০ জন, পাবনায় ২০১ জন, সিরাজগঞ্জে ১৮৩ জন, রাজশাহীতে ১৩৬ জন, নাটোরে ৮১ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮০ জন।
এদিকে শনাক্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন- রাজশাহী জেলায় ৩৩ জন, বগুড়ায় ১৩১ জন, নওগাঁয় ১২৮ জন, জয়পুরহাটে ১১৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৭ জন, নাটোরে ৪৭ জন, সিরাজগঞ্জে ১৬ ও পাবনায় ১৮ জন।
রাজশাহী জেলার করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, জেলার ১৩৬ করোনা পজিটিভ রোগীর মধ্যে মহানগর এলাকায় রয়েছেন ৪৫ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, বিভাগে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থাতেও জীবন-জীবিকার স্বার্থে সবাইকে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে, হাট-বাজার করতে হচ্ছে। এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সতর্কতা হিসেবে বাইরে গেলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ