চাঁপাইনবাবগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় ও সোনামসজিদ বন্দর উন্মুক্ত করে দেয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সীমান্তবর্তী এ জেলায়।
প্রতিদিনই করোনার বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে মানুষ।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় নতুন আরও ৬৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন জেলায় একদিনে এটি সর্বোচ্চ শনাক্ত।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে আসা ১১৮ জনের নমুনার ফলে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় শিবগঞ্জের ১১ ও গোমস্তাপুরের ছয়জনের করোনায় শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে শনাক্তদের তথ্য ও অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত দু’দিনে জেলায় সদর, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটের একজন করে আরও তিনজন করোনায় মারা গেছেন। এদের মধ্যে শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটের দু’জন রামেক হাসপাতালে মারা গেছেন। সদরের একজন জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান।
সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ২১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত এক হাজার জন সুস্থ হয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৫ জন। আর জেলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলা থেকে বুধবার পর্যন্ত আট হাজার ৩১৮টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এখনও ফল পাওয়া যায়নি ৮৭টি নমুনার।
শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।