বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ইউরোপের পরাশক্তি বেলজিয়াম।
যে দলটি ৩৯২ দিন আগেও সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে পিছিয়ে ছিল সেই দলটির বিপক্ষেই বেলজিয়াম এমন আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেবে কেউ কি কল্পনা করেছিল? কিন্তু কল্পনাকেও হার মানিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের জালে দুই গোল দিয়ে ০-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইউরোপের পরাশক্তি বেলজিয়াম।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দিতে থাকে বেলজিয়াম। রেড ডেভিলদের নয়জন ফুটবলারেরই উচ্চতা ছয় ফুটের উপরে। যেখানে মাঠের খেলার পাশাপাশি উচ্চতার সঙ্গেও খেলতে হয় ব্রাজিলকে।
ম্যাচের ৮ মিনিটেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু কর্নার থেকে নেয়া নেইমারের শট থিয়াগো সিলভা গোলমুখের একদম সামনে থেকে পা ছোয়ালেও তা গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। এমন গোল মিসের খেসারত দিতে হয় ব্রাজিলকে ১৩ মিনিটে।
কর্নার থেকে ডি ব্রুয়েনের ক্রসে কাসেমিরোর বদলে ব্রাজিল একাদশে সুযোগ পাওয়া ফার্নান্দিনহো আত্মঘাতী গোল করে বসলে দীর্ঘ ৩৯২ দিন পর কোনো ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল।
২১ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। কিন্তু হ্যাজার্ডের কাছ থেকে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট ক্রস করে মিউনিয়ার। ৩০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের গোলমুখে শট বেলজিয়ামের রক্ষণভাগের ফুটবলারের পায়ে লেগে প্রতিহত হলে কর্নার পায় ব্রাজিল।
কিন্তু কর্নার থেকে সুবিধা করতে না পেরে উল্টো বিপদে পড়ে সেলেসাওরা। কাউন্টার এটাক থেকে ফেলাইনি দুর্দান্তভাবে বল দেন লুকাকুকে। মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে দুজনকে কাটিয়ে ডান পাশে ফাঁকায় থাকা ডি ব্রুয়েনের কাছ পাস করলে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার বুলেট শটে গোল করে বেলজিয়ামকে ০-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই ম্যানসিটি তারকা।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে ব্রাজিলের অনুপ্রেরণা এই বেলজিয়ামই। কেননা, জাপানের বিপক্ষে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও জিতেছিল বেলজিয়াম। ৩৭ মিনিটে মার্সেলো ও নেইমারের জোড়া শট রুখে দিয়ে ব্রাজিলকে গোলশূন্য অবস্থায় রাখেন করতোয়া। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন