নগরবাসীর নির্বিঘ্নে চলাচরের জন্য রজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সহযোগীতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ধারের ফুটপাতগুলো প্রশস্থ করার পাশাপাশি রঙিন ও আধুনিক টাইল্স দিয়ে নান্দনিক ভাবে সাজান হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে এ কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। তবে সেই ফুটপাতে অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ীদের পণ্যের পসরার পাশাপাশি এখন বিভিন্ন যানবাহনও দাঁড়া করিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি সড়কে যানজট থাকলে সংলগ্ন ফুটপাতের ওপর দিয়েই চালিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন। ফলে প্রকাশ্যেই ছিনতাই হয়ে রয়েছে অসহায় পথচারীদের চলাচলের জন্য এই নিরাপদ নান্দনিক ফুটপাত।
সরেজমিনে নগরীর সাগোর পাড়া বটতলা এলাকার দক্ষিণে গিয়ে দেখাযায় এই সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতের ওপর দিব্বি দাঁড়া করিয়ে রাখা হয়েছে ৪টি মাইক্রো, কার ও জিপ। একটু এগিয়ে যেতেই দেখা গেলো প্রায় ১০০ মিটার এলাকার সড়কসহ ফুটপাত দখল করে সেখানে রিতিমতো মাইক্রো স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলা হয়েছে। মাইক্রো ও কারসহ বিভিন্ন যানবাহন সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে সেখানে। এভাবেই দিন-রাত যানবাহনগুলো রাখা হচ্ছে। গাড়িগুলো এই রাস্তার ওপরেই ধোয়া ও মোছার কাজ করা হচ্ছে। আবার যানবাহনগুলোর চালকেরা ফুটপাত দখল করে দাবা নয়তো লুডু খেলছে, নয়তো নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে সময় পার করছে। ফলে এই এলাকার ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না।
নগরীর প্রায় প্রতিটি ফুটপাতেরই এখন একই চিত্র। কোথাও যানবাহন, কোথাও অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ীদের পণ্যের পসরা, নয়তো কোথাও নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ফুটপাতগুলো দখল করে রাখা হয়েছে। এতেকরে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা। আর প্রকাশ্যেই হচ্ছে এমন অন্যায়। রসিকের দেয়া তথ্য মতে অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখর করে রাখলে রয়েছে অর্থ দন্ডের বিধান। তবে সেই বিধান শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।
বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সম্প্রতি রাসিকের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পায়ে হেটে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি প্রতিটি ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সংশ্লিষ্ট দখলদারদের অনুরোধ করেন। তবে এখন পর্যন্ত দখলদারদের মাঝে এ বিষয়ে অনুসুচনা বা মেয়রের অনুরোধের কোন কার্যকর ফল চোখে পড়েনি।
সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজাহার আলী বলেন, যেখানে মেয়র সকলকে অনুরোধ করে গেছেন যাতে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা হয়। তারপরও এই দখলদারেরা মেয়রের সেই অনুরোধ অমান্য করছে। একই অভিযোগ করে সিরোইল এলাকার বাসিন্দা নন্দন বলেন, এখন সড়কে পায়ে হেটে চলাচল মানে আত্মহত্যা করা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করতে দখলদারদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আর এই কাজে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছাই যথেস্ট।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন