নগরীর ব্যস্ততম দরিখরবোনার মোড়। মোড়টিতে চতুরদিক থেকে রাস্তা এসে সংযুক্ত হওয়ায় দিনের প্রায় অধিকাংশ সময়েই লেগে থাকে যানজট। এখানে মাত্র দুই জন, কখন একজন ট্রাফিক কন্সটেবল দিয়ে ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করার হয় সেই যানজট। ফলে কর্তব্যরত ট্রাফিকদেরো হিমশিম খেতে হয় যানজট নিরসনে। এদিকে এখানে মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে সার্জেন্টদের, তারা ব্যস্ততম এই সড়কের ধারে মোটরসাইকেল চালকদের থামিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। অসঙ্গতি পেলেই ঠুকছেন মামলা। সড়কে অন্যান্য যানের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত যান চলাচল করলেও তারা সেই যানগুলোর গতি রোধ করেন না বা গতিবিধি নজরে নেন না। আবার মোড়টির সড়কের ধারে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অটো বা রিকশা দাড়া করিয়ে রাখা হলেও তাদের সরনো হচ্ছে না। এমনকি সার্জেন্টদের কাজের সময় দেখা যায় এই মোড়টিতে কর্তব্যরত ট্রাফিক কন্সটেবলেরা ম্যানুয়ালি সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করা বাদ দিয়ে সার্জেন্টকে সহযোগীতায় গাড়ি ধরায় ব্যস্ত থাকে। ফলে এই সময়টিতে যানজটসহ সড়কদুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায়ও দেখা যায় এমনই একটি চিত্র। মোড়টিতে কর্তব্যরত সার্জেন্ট হামিদুল এসময় রাস্তায় চলা মোটরসাইকেল চালকদের গতি রোধ করে চালকসহ মোটরসাইকেলের অসঙ্গতি নির্ণয় করছেন। অসঙ্গতি পেলেই মামলা দিচ্ছেন। এসময় তাকে সহযোগীতা করছেন মোড়টির দায়িত্বে থাকা একজন কন্সটেবল। অবশ্য তার বুকে কোন নেমপ্লেট ঝোলান ছিলো না। সে মোড়টির সিগনাল নিয়ন্ত্রণ বাদদিয়ে সার্জেন্টকে মোটরসাইকেল ধরায় সহযোগীতা করছে। এসময় তাদের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে সড়কে চলাচলে নিষিদ্ধ যান শ্যালো চালিত ভটভরি। পাশিই এলোমেলো ভাবে ব্যাটারিচালিত অটো ও রিকশা দাড়িয়ে রয়েছে। দূরপাল্লার বাস মোড়টিতে দাড়িয়ে যাত্রী তুলছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এক শ্রেণীর দখলদার ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে রেখেছে। এতেকরে পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ কর্তব্যরত ট্রাফিক ও সার্জেন্টের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই।
পাশেই ভিড় করা ভুক্তভোগী পথচারী ও মোটসাইকেল চালকরা অভিযোগ করে জানানা, সার্জেন্টদের এখন টার্গেট শুধুই মোটরসাইকেল ধরা, কারণ মোটরসাইকেল ধরে কেস দিতে পরলেই তাদেরো আয় হয়। অটো চালকদের সিন্ডিকেট থাকায় তাদের কিছু বলতে পারে না। কারণ তাদের নেতারা তখন ট্রাফিক অফিসে গিয়ে চিল্লাপাল্লা করে। কাজেই সড়কে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টদের দেখান কাজের তৎপরতা প্রকৃত অর্থে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো জন্য নয়, তন্তরালের উদ্দেশ্য কেস দিয়ে আয় বাড়ানো। নগরবাসীর দাবি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে ট্রাফিক সংশ্লিষ্টদের বৈসম্যহীন ভাবে সড়কে সকল যানবাহনের ওপর কড়া নজরদারি আরোপ করতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজনে মামলা দিতে হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন