দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষ। রাত পোহালেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। আর বর্ষবরণের সংস্কৃতিতে না থাকলেও ঘুরেফিরে উৎসবের অনুষঙ্গ সেই রূপালি ইলিশই।
চৈত্রের শেষ দিনে তাই কদর বেড়েছে ইলিশের। ক্রেতাদের চাহিদাকে সামনে রেখে মজুদকৃত ইলিশ বের করছেন ব্যবসায়ীরাও। তবে শিকার বন্ধের অজুহাতে চড়া দাম হাঁকানো হচ্ছে ইলিশের। তাই বৈশাখী উত্তাপ ছুঁয়েছে ইলিশের শরীর!
সারা বছর যেমনই হোক পহেলা বৈশাখের দিনে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার লোভটা সামলাতে পারেন না কেউই। তাই সবারই যেন ইলিশ চাই। কিন্তু বৈশাখী হাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশের দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ শিকার বন্ধ। তাই আমদানি না থাকায় দাম বেশি। জুন মাসে পদ্মায় ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হবে, তখন দামও কমবে। রাজশাহীর বাজারে এখন যেসব ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বরিশাল, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করা। এগুলো বৈশাখের জন্য মজুদ করা হয়েছিল। তাই বাজারে ইলিশের দাম বেশি।
মহানগরীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা। খুচরা বাজারে বড় ইলিশ না পাওয়া গেলেও ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে ক্রেতাদের বেশি দামে ইলিশ কেনা ছাড়া আর উপায় থাকছে না।
বাজারে এদিন ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ছয়শ’ থেকে আটশ’ টাকা কেজিতে। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে নয়শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়। যদিও এক সপ্তাহ আগে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫শ’ টাকায়। এছাড়াও ৩শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪শ’ টাকা কেজিতে।
মহানগরীর সাহেব বাজারে ইলিশ কিনতে আসা শবনম মুস্তারি নামের এক ক্রেতা বলেন, সারা বছর না হলেও পহেলা বৈশাখের একটি দিন পরিবারের লোকজনের ইলিশের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ থাকে। কিন্তু বৈশাখ এলেই তার দাম বেড়ে যায়!
মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী জুম্মন আলী বলেন, এবার ইলিশের আমদানি যেমন কম, তেমনি ক্রেতাও অনেক কম। আজও সকাল থেকে অনেক মানুষ ইলিশের বাজারে আসছেন, দেখছেন, দাম জানছেন আর চলে যাচ্ছেন। দু’একজন ক্রেতা এখন ইলিশ কিনছেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪