যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের দুজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। সোমবার সন্ধ্যায় এই দুজনসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করে ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
মামলায় রাজশাহীর যে দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন- অনিক সরকার (২২) ও মেহেদী হাসান রবিন (২২)। এদের মধ্যে অনিক সরকার মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর রবিন পবা উপজেলার কাপাসিয়া চৌমুহনী এলাকার মাকসুদ আলীর ছেলে।
অনিক সরকারকে মামলার ৩ নম্বর এবং মেহেদী হাসান ববিনকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অনিক ও রবিন বুয়েটের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মেহেদী হাসান রবিন বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অনিক সরকার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ছিলেন। তদন্ত শেষে এই দুজনসহ ১১ ছাত্রলীগ নেতাকে সোমবার রাতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
উল্লেখ, রোববার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সহপাঠীদের অভিযোগ, রোববার রাত ৮টার দিকে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত ২টা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে তাকে পেটানো হয়।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪