রাজশাহী নগরে বাজারগুলোতে এখন সাজ সাজ অবস্থা। ঈদ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে এই অবস্থা। নগরীর অলিতে-গলিতে, রাজপথে, দোকানে-দোকানে, সুপার মার্কেটে, সেলুনে, বিউটি পার্লারে সবখানেই এখন চাঙ্গাভাব। মানুষ এখন জোর তাগিদ অনুভব করছেন যত তাড়াতাড়ি কেনাকাটা করে প্রস্তুতিটা সেরে ফেলা যায়।
নগরীর প্রতিটি মার্কেটেই এখন গাদাগাদি আর চাপাচাপি অবস্থা। একই অবস্থা নগরীর প্রায় প্রতিটি রাস্তাতেই। রাস্তায় যানজট আর মার্কেটে মানুষজট। এরই মাঝে মানুষ মুখরিত হয়ে উঠছে। ঈদ বলে কথা! মানুষ এখন কিনছেন। কেনাকাটা দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন। যদিও বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন,বাজার জমেনি। কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হরদম কেনাকাটা চলছে। মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ভিড়ে নারী আর শিশুরা ভীষণ অসহায় বোধ করছে। অনেকেই শিশুদের সাথে নিয়ে ঈদের বাজার করতে আসছেন। তারা ভীষণ শংকিত হয়ে পড়ছেন শিশুদর হারিয়ে যাওয়ার শংকায়।। দুপুরের প্রথম ভাগ থেকেই মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। যত বেলা বাড়ে ভিড় তত বাড়ে। বাড়ে কেনাকাটাও। দর কষাকষি চলে প্রতিটি মার্কেটেই। বিক্রেতারা যে দাম হাঁকেন ক্রেতারা সেই দামে পোশাক কিনতে চান না। তাদের মতে, প্রকৃত দামের চেয়ে সব দোকানিই অনেক বেশি দাম চায়। নিউমার্কেটের এক দোকানের এক সেল্সম্যান বলেন, ঈদের বাজারে দাম তো একটু বেশি হবেই। ফিক্সড প্রাইসে যারা বিক্রি করছেন সেসব দোকানেও ভাল বিক্রি হচ্ছে। এক সেল্সম্যান বলেন, মানুষ ঝামেলামুক্ত পরিবেশে কেনাকাটা করতে চায়। ফিক্সড প্রাইসে কেনাকাটা হলে ঝামেলা কম হয়।
ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে নগরীতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী যানজট। নগরীর রেলগেট, নিউমার্কেট, সোনাদীঘির মোড়, লক্ষীপুর সর্বত্রই যানজটে আক্রান্ত থাকছে। দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই যানজট বিকেলের দিকে ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। আর যানজটে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিকদের। এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, উপায় কি! এই জট থাকবেই ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। এটা ভেবেই আপনাকে রাস্তায় বের হতে হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন