রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটের মূল ফটকের সামনে অবস্থিত নগরীর একমাত্র ফুটওভার ব্রিজ। মূলত জনদুর্ভোগ কমানেরা পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াবার জন্যই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় এই ব্রিজটি। তবে সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের তত্বাবধান ও সংস্কারের অভাবে ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, এ ব্রিজে বেড়েছে বখাটে ও মাদকাসক্তদের উৎপাত।
সোমবার দুপুরে ব্রিজটির কাছে গিয়ে দেখা যায় আরডিএ মার্কেটের সামনের বড় সড়কটি পারাপারে বাজারে আসা মানুষগুলো এই ব্রিজটিই ব্যবহার করছেন। ব্রিজটি ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিজটির লোহার পাটাতনে লক্ষ করে দেখা যায়, এর বেশকিছু অংশ ক্ষয় হয়ে রয়েছে। পায়ের দিকে তাকালে পুরু লোহা ভেদ করে ক্ষয় হওয়া অংশ দিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফির নিচের সড়ক দেখা যাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে পথচারীদের পায়ের চাপে এই ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ ভেঙে পড়তে পারে। ফুটওভার ব্রিজে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে দুই ধারে সিড়ি। এই সিড়িগুলোও সংস্কারের অবভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। অসতর্কতাবশত সিড়িটি ব্যবহার করলে পিছলে পড়ে পথচারীদের ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
এদিকে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবার সাথে ব্রিজটির ওপরে একদল আগন্তুকের দেখা মেলে। যারা প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যকার বিভিন্ন সময় ব্রিজটির ওপর দাড়িয়ে মাদক সেবন করে। এতে করে রাতে ব্রিজটি অনেকেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। পথচারীরা অভিযোগ করে জানান, আরডিএ মার্কেটের সামনের সড়ক পারাপারের জন্য এই ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। কারণ সড়কের মাঝে গ্রিল দেয়া রয়েছে। তবে ফুটওভার ব্রিজটির এই দুর্দশা ও রাতে নিরাপত্তা হীনতার কারণে পথচারীদের সড়ক পাড়া পাড়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
দুর্ভোগের এখানেই শেষ নয়। সরু ব্রিজটির ওপর দুই তিন ধাপ এগিয়ে যেতেই বেশ কয়েকজন ভিক্ষুকদের হাত বাড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। এতে করে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় ভিক্ষুকদের বাড়িয়ে রাখা হাতে পথচারীদের পা বেঁধে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবার উপক্রম হয়। প্রায় ছয় থেকে সাত জন ভিক্ষুক প্রতিদিন এভাবেই ব্রিজটির ওপরে হাত বাড়িয়ে বসে থাকে।
নগরীর এই একমাত্র ফুটওভার ব্রিজটির দায়িত্বে রয়েছে রাজশাহী সিটিকরপোরেশন (রাসিক)। তবে স্থানীয়দের মতে ফুটওভার ব্রিজটি জনগণের জন্য নির্মিত। এই ব্রিজটির সংস্কার বা চলাচলের পরিবেশ উন্নত করার বিষয়ে কারও তেমন আগ্রহ নেই। ফলে ক্রমশই এই ফুটওভার ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করেছেন নগরবাসী।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন