নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে গত শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাজশাহী থেকে সব আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে নৈশকালীন বাসগুলো চলছিল। কিন্তু রোববার (৫ আগস্ট) থেকে রাতেও বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহী। স্বাভাবিক কাজকর্মে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অঘোষিত ‘পরিবহন ধর্মঘটে’ তৃতীয়দিনেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজশাহীর সাধারণ মানুষ। রোববার সকাল থেকে বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
সকালে মহানগরীর তালাইমারী মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবহন শ্রমিকেরা মোড়ে অবস্থান নিয়ে আছেন। ফলে কোনো ধরনের যানবাহন শহরে প্রবেশ কিংবা বের হতে পারছে না। যানবাহন না পেয়ে মানুষজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। দূরের গন্তব্যের জন্যও যাত্রীরা রিকশা-অটোরিকশায় উঠছেন। তবে এর জন্য তাদের দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান পিটার বলেন, শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে উচ্ছৃঙ্খল একটি গোষ্ঠী। মূলত তারাই বাসে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের হয়রানির কথা ভেবে দু’দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সব রুটে বাস চালানো হয়। কিন্তু পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে রোববার থেকে রাতেও বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে, রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটের বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো শুরুর দিন থেকেই সিডিউল অনুযায়ী চলাচল করছে। ফলে রাজশাহী থেকে বর্তমানে রংপুর, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সব সময় বিআরটিসি’র বাস না থাকায় এবং বাস কম থাকায় দুর্ভোগ কাটছে না। ফলে কর্মদিবসে মাইক্রোবাস, সিএনজি ও দূরের যাত্রার জন্য রেলপথকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪