রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। আর মসলা হচ্ছে এ ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ। তাই কোরবানির পশু কেনার পর রাজশাহীতে এখন ভিড় বেড়েছে মসলার বাজারে।
বিক্রেতারা বলছেন, মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। বিশেষ করে দুপুর গড়াতেই মানুষের ভিড় বেড়েছে মসলার বাজারে। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার বাজারের প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত মসলা মজুদ রয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মসলারই দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে সিন্ডিকেট করে এ দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে যে দোকানেই যান দাম একই। দরদাম করেও লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই মসলা কিনেতে হচ্ছে।
দুপুরে মহানগরীর সাহেব বাজারে মসলাপাতি কিনতে এসেছিলেন মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার গৃহিণী আফসানা রহমান। তিনি বলেন, সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত বাজার করতে আসেন তিনি। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আজ মসলার বাজার অনেক গরম। গেলো সপ্তাহের তুলনায় বাজারে মসলা ভেদে কেজিপ্রতি দাম দুই থেকে তিনশ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে সাহেব বাজার এলাকার মিলন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মিলন হোসেন বলেন, যা দাম বাড়ার তা আগেই বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে কোনো মসলার দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে যারা এক মাসেরও বেশি সময় পর বাজারে আসছেন তাদের কাছে দামটা বেশি মনে হচ্ছে।
এ বাজারের পাশেই থাকা রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের পাইকারি মশলা বিক্রেতা মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মমিন বলেন, পাইকারি বাজারে বাড়েনি মসলার দাম। মোটামুটি এক মাস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মসলা। কারণ এবার আমদানি ও মজুদ বেশি। তাই নতুন করে দাম বাড়েনি বলেও দাবি করেন এ বিক্রেতা।
এদিকে, সাহেব বাজারে দর যাচাই করে দেখা গেছে মঙ্গলবার মান ভেদে কেজিপ্রতি বড় এলাচ ৭০০ থেকে ৯৫০ ও ছোট এলাচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৪৮০ থেকে ৫০০ এবং সাদা গোলমরিচ ৭০০ টাকা, ভারতীয় জিরা ৩২০ থেকে ৩৬০ ও সিরিয়ার জিরা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজারে তেজপাতা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি, মেথি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, দারুচিনি ২৩০ থেকে ২৬০, লবঙ্গ ৭৫০ থেকে ৯৪০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি কিসমিস ৩৫০ থেকে ৪৪০ টাকা, আলু বোখারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঠবাদাম ৭০০ থেকে ৭৬০ টাকা, পোস্তদানা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ টাকা, জায়ফল ৪৪০, জয়ত্রী ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের জন্য স্পেশাল স্টার মশলা ৭০০ টাকায় এবং কাবাব চিনি ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে কাঁচাবাজারে দাম বাড়েনি আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও মরিচের। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। দেশি রসুন ৮০ থেকে ৯০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪