রাজশাহীতে নির্মিত হচ্ছে প্রথম ফ্লাইওভার। আগামী ডিসেম্বর নগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে এটি। এখন নতুন করে পরিকল্পনায় এসেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চলবে মেট্রোরেলও।
বৃহস্পতিবার নগরীর পরিবহন খাতে আধুনিকায়ন নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে চায়না পাওয়ারের সঙ্গে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নগর গড়তে প্রতিষ্ঠানটির সহায়তা চেয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে পাওয়ার চায়নার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র লিটন। এ সময় কোম্পানিটির আরও পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ করে গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গড়ে তোলা হবে সাধারণ ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। নগরীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও বাড়ানো হবে কারিগরি সুবিধা। আধুনিকায়ন হবে নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নেয়া হবে নানা পরিকল্পনা। এসব কিছুই হবে সিটি কর্পোরেশনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী।
মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, চায়না পাওয়ারকে আমরা রাজশাহীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারাও মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন রাজশাহীর উন্নয়ন হবে মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী। এ কাজে কেবল সার্বিক সহায়তা দেবে রাসিক। আর্থিকসহ বাকি দায়-দায়িত্ব কোম্পানির।
বৈঠকে অংশ নেন- রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাসিক, অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এবং পাওয়ার চায়নার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপর পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আবারও আলোচনার পর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- রাসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাসার ও নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজেত হোসেন প্রমুখ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪