রাজশাহীতে ফের শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। কাঠফাটা রোদ আর গরমের তীব্রতায় ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে নগরজীবন। রোদ তো নয়, যেন আগুন নামছে আকাশ থেকে! এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে মাহে রমজান। তাই তাপদাহ উপেক্ষা করেই মানুষ এখন ভিড় করছেন শহরের অভিজাত ইফতার পণ্যের দোকানগুলোতে।
রমজানের প্রথম দিনের এই অসহনীয় গরমের মধ্যেও তাই ধুম পড়েছে ইফতার কেনাকাটার। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই জমে উঠেছে ইফতার বাজার।
এছাড়া প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার গলিপথেও ইফতার পণ্য নিয়ে বসে গেছেন দোকানিরা। মহানগরীর সাহেব বাজার, আলুপট্টি, কুমারপাড়া, সোনাদীঘির মোড়, সিএনবি মোড়, লক্ষ্মীপুর, কাদিরগঞ্জ, বিন্দুরমোড়, নিউমার্কেট, গণকাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ইফতার। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দোকানগুলেতে রকমারি ইফতার তৈরি করা হয়েছে।
ঘিয়ে ভাজা বোম্বে জিলাপি, রেশমি জিলাপি, স্পেশাল ফিরনি, ক্ষিরসা, ফালুদা, নবাবী টানা পরোটা, কাশ্মীরি পরোটা, চিকেন মসলা, রেশমি কাবাব, তেহরি, কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, নানান রকমের জুসসহ জনপ্রিয় ইফতার পণ্যগুলো এবারও শুরুতেই নজর কাড়ছে।
মহানগরীর গণকপাড়া এলাকার রহমানিয়া রেস্তরাঁর রিয়াজ আহমেদ জানান, তারা সব রকমের ইফতারের আইটেম তুলে এনেছেন। যাতে সাধারণ ক্রেতাসহ সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারা যায়। যেমন তাদের আছে স্পেশাল ফিরনি, শিক কাবাব, মাটন লেগ রোস্ট, স্পেশাল গরুর তেহরি। এছাড়া ছোলা, বুট, বেগুনিসহ অন্যান্য আইটেম তো রয়েইছে।
প্রথম দিনে গরমের মধ্যেও ভিড় বাড়ছে বলে জানান তিনি।
ইফতার কিনতে আসা শালবাগান এলাকার ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, আজ রহমতের প্রথম দিন। আর এদিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করবেন। যার জন্য রেশমি জিলাপি, স্পেশাল ফিরনি, ক্ষিরসা ও পরোটা কিনেছেন।
এদিকে, অন্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বেশি বলেও জানিয়েছেন ক্রেতারা। ফলে ইফতার কিনতে এসে সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হয়েছে।
নিউমার্কেট এলাকার আশরাফ আলী জানান, বুট, জিলাপিসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম এবার গতবছরের চেয়ে বেশি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য রমজান শুরু হওয়ার আগে যা ছিল রমজানের প্রথম দিনেই সেই সব পণ্যের মূল্য বেড়েছে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করছেন তার মতো সাধারণ ক্রেতারা।
এরই মধ্যে সাহেব বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার হোটেল রেস্তরাঁর সামনে বাহারি ইফতারের পসরা সাজানো হয়েছে। সামনে পণ্যের তালিকা সম্বলিত ব্যানারও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোজাদারদের আকর্ষণ করার জন্য হোটেল-রেস্তরাঁগুলোর সামনে ডেকোরেশন করা হয়েছে। ইফতার সামগ্রী বিক্রি ও ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য কেউ কেউ বাইরে থেকে বাবুর্চিও এনেছেন বলে জানা যায়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪