রাজশাহীর পুঠিয়ায় মধ্যরাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন প্রেমিকসহ তিন যুবক। খবর পেয়ে গভীর রাতে তাদের উদ্ধারে গেলে সারারাত অবরুদ্ধ করে রাখা হয় পুলিশ সদস্যদেরও।
রোববার রাতে উপজেলার ভালুকগাছি-হাড়গাতি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকগাছি ইউপি চেয়ারম্যান তাকবির হাসান বলেন, ধোপাপাড়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে ও রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হায়দার আলীর সঙ্গে হাড়গাতি গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমিক হায়দার আলী তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে প্রেমিকার গ্রামে যান। বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী রাশেদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই প্রেমিক যুগল রাতের আঁধারে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন। বিষয়টি গ্রামের লোকজন টের পেয়ে গতরাতে হাতেনাতে তাদের আটক করে। আটক প্রেমিক ও তার বন্ধুদের মারধর করে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল আহত তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চাইলে গ্রামের লোকজন তাতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে পাশের মসজিদে ঘোষণা দিলে লোকজন জড়া হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলটিকে সারারাত অবরুদ্ধ করে রাখেন গ্রামবাসী।
এ ব্যাপার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিল উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসীর বাধার কারণে আহতদের রাতে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে কাজে বাধা দেয়ায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪