হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মা সেলিনা বেগমকে (৫০) হত্যার দায় স্বীকার করেছে মাদকাসক্ত ছেলে সালেক আহমেদ।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (৩) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ দায় স্বীকার করেন তিনি।
আদালতের বিচারক রাসেল মাহমুদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে সালেক জানান, মাদকের টাকার জন্য নয়, জমিজমার সূত্র ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মায়ের মৃত্যু হয়।
আদালতের বরাত দিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
মাকে হত্যা করার পরদিনই মাদকাসক্ত ছেলে সালেক আহমেদকে আটক করে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালেককে আটক করা হয়। এর আগে রোববার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার আরিজপুরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহাবুদ্দীন আহমেদের ছেলে সালেক আহমেদ হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তার মাকে হত্যা করেন। এ সময় বাড়িতে সালেক ও তার মা সেলিনা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রাতে বাড়িতে গিয়ে দরজায় তালা ঝুলতে দেখে স্ত্রীকে আশেপাশের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন শাহাবুদ্দীন।
এক পর্যায়ে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতুড়ি জব্দ করে। এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। পরদিন সোমবার সকালে সেলিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, হত্যার পর গলায় রশি পেঁচিয়ে মায়ের মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সালেক। যাতে সবাই আত্মহত্যা বলে মনে করে। কিন্তু গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও শরীরের বেশিরভাগ অংশ মেঝেতেই পড়েছিল। শিক্ষক শাহাবুদ্দীন আহমেদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সালেক আহমেদ। অত্যন্ত মেধাবী সালেক আহমেদ একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কিন্তু মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তার চাকরি চলে যায়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর