যৌন হেনস্তার শিকার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সেই ছাত্রী অজ্ঞাত পাঁচ বখাটের নামে মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় এই মামলা করেন রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা তিনি।
এদিকে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত বখাটেদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে রাজশাহী মেট্রাপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে ১৯ আগস্ট ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে তাকে যৌন হেনস্তা করে একদল বখাটে।
এনিয়ে পরে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ওই ছাত্রী। দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই স্ট্যাটাস নজরে আসে নগর পুলিশের। এরপর থেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে আরএমপি।
মঙ্গলবার ওই রুয়েট ছাত্রীকে ডেকে কথা বলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা। পরে মামলা করেন তিনি।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ইজিবাইক চালকও আছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত গত ১০ আগস্ট রাজশাহী শহরের ব্যস্ততম সাহেববাজার মনি চত্বরে একদল বখাটে রুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী তাবাসসুম ফারজানাকে যৌন হয়রানি করে।
এ সময় ওই শিক্ষক প্রতিবাদ করায় তাকে লাঞ্ছিত করে বখাটেরা। প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি কেউ। এ নিয়ে দেশত্যাগের কথা জানিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এই শিক্ষক।
এ ঘটনার ৬ দিন পর ১৬ আগস্ট তার স্ত্রী তাবাসসুম ফারজানা বাদী হয়ে নামে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৮ জনের মামলা করেন।
এরপর ১৯ আগস্ট রাতে জড়িত তিন বখাটেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪