রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানো সময় অস্ত্র ও গুলিসহ ৩ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাইনুল ইসলাম ছুরিকাহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে মহানগরীর কাদিরগঞ্জ চালপট্টি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় পুলিশের নিয়মিত তল্লাশি চলছিল। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে রাজশাহী কলেজের ছাত্র অভিজিৎ হাওলাদার, নওহাটা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আমির হোসেন ও সপুরা ভোকেশনাল স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মোবারক হোসেন রিকশায় করে সাহেব বাজারের দিকে যাচ্ছিল।
তাদের দেখে সন্দেহ হলে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মাইনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় এক ছাত্রের পকেট থেকে একটি ছুরি পাওয়া যায়। পকেটে ছুরি কেন রেখেছো? জিজ্ঞাস করতেই তাদের একজন এএসআই মাইনুলকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ওই কর্মকর্তার হাতের আঙুল কেটে যায়। পরে ওই যুবকরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। এ সময় আবারও তাদের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আটক করে বোয়ারিয়া থানা নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাদের থানায় রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ওই মামলায় বিকেলের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আটকরা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা অস্ত্র ও গুলি বহন করে তা অন্য কাউকে পৌঁছে দিচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর