কলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। কলা চেনেন না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। কলাকে প্রাচীন সাহিত্যে কদলি বলা হতো। কলাগাছ, কলাপাতা, কলাগাছের শিকড় ও কলা সবই উপকারী। কলাগাছ ও কলাপাতা শুধুমাত্র পশু খাদ্য নয়। এদের আছে আশ্চার্যজনক ভেষজ গুণ। রোগ নিরাময়ে অদ্বিতীয়। কলা মাঠে চাষ হয়। সারা বছরই এ কলা বাজারে পাওয়া যায়।
কলা পৃথিবীতে ৫০টি প্রজাতি আছে। এর অধিকাংশ প্রজাতির উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায়। বাংলাদেশে প্রায় ১৯টি জাত রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় বাংলা কলা, বন কলা, মামা কলা ইত্যাদি নামেও কলার কিছু বুনো জাত দেখা যায়। ক্রমশ কলার জাতের সংখ্যা বাড়ছে।
কলা মানুষ চেনেন নানান নামেও। যেমন, সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর, চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী, এটেকলা যেমন-বতুর আইটা, গোমা, সাংগী আইটা, ভেড়ার ভোগ, চোয়াল পউশ, বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়েরবাতি প্রভৃতি।
এখন কলা এখন শোভা পাচ্ছে টবেও। টবেও চাষ হচ্ছে কলা। রাজশাহী মহানগরীর বোসপাড়া এলাকায় বাড়িতে এ কলা চাষ করেছেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সুজিত ভদ্রের স্ত্রী তনুশ্রী ভদ্র।
তনুশ্রী ভদ্র জানান, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ৮ থেকে ৯ মাস আগে সিঙ্গুপুরী কলার চারা নিয়ে তিনি টবে লাগিয়েছিলেন। যাকে আমরা সাধারণত সাগর কলা নামে চেনে। তার রোপন করা গাছে এখন কলা ধরেছে। ছাদ বাগান ক্যাটাগরিতে তিনি ২০১১ সালে পুরষ্কারপ্রাপ্ত হন।
তনুশ্রী ভদ্র জানান, কলা সাধারণত টবে হয় না। তাই লাগিয়ে চেষ্টা করেছি। প্রথম চেষ্টায় সফল। কলার মোচা বের হওয়ার পর থেকে এর যত্ন নিতে থাকি। এখন কলাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। অল্প দিনেই কলাগুলো পাকবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন