শীত পড়ে গেছে। মোসুমী শাক-সবজিতে ভরপুর রাজশাহীর কাঁচাবাজার। তারপরও কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে নানারকম সবজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজ আমদানী ও নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু হলেও সংকট কাটেনি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ২৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বেড়েছে চালের দাম। সবমিলিয়ে রাজশাহীর বাজার উর্ধ্বমূখী। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের এমন উর্ধ্বমূল্যের কারনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৭০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও প্রতি কেজি মূলা ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭৫-৮০ টাকা, নতুন লাল আলু ৮০-৯০ টাকা, ধনেপাতা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও, শসা ৭০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, মরিচ ৪৫-৫০ টাকা, সাদা আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রসুন ১৫০-১৫৫ টাকা, আদা ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চিকন চালের। দাম বেড়ে আতপ চাল ৯৫ টাকা, চিনাগুড়া ৯০ টাকা, রাধুনী ৮০ টাকা, কাটারি আতপ ৭০ টাকা, মোটা আতপ ৬০ টাকা, পায়জাম আতপ ৬০ টাকা, পারিজা ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানান নগরীর কুমার পাড়ার মেসার্স মক্কা রাইস এজেন্সির সত্তাধিকারী আব্দুল কাদের।
বাজারে দেশি মশুর ডাল ৬০ টাকা, মুগ ডাল ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, মাসকলাই ১০০ টাকা, সোনা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মটর ৪০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, সরিষা ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩০ টাকা, জিরা ৩৫০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, চিনি ৫৮ টাকা ও লবন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে।
দাম কমেছে মাছের। দাম কিছুটা কমে রুই মাছ প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও বোয়াল ২০০-২২০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০-৮৫০ টাকা, মাঝারি ৪৫০-৫০০ টাকা, চিতল ৩০০-৩৩০ টাকা, বাসপাতা ৪৮০-৫০০ টাকা, নাইলোটিকা ১৬০-১৮০ টাকা এবং গুচি মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা, মৃগেল ১৩০-১৩৫ ও ১৮০-১৯০ টাকা, বাটা ২০০-২১০ টাকা, কই ১৬০ টাকা, সিং ৪৪০-৪৫০ টাকা ও শরপুঁটি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে বর্তমানে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১২০ টাকা, সোনালি ২২০ টাকা, লেয়ার ১৬০ টাকা, হাঁস ২৭০ টাকা, রাজহাঁস ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২০-৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭২০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের বাইরে। গত দু’মাস ধরে শিম, ফুলকপি, মুলাসহ শীতকালিন সবজি বাজারে বিক্রি হলেও দাম কমছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না তারা। তবে আগামী সপ্তাহে সব সবজির দাম কমতে পারে বলে জানান তারা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন