আসছে বছরের ৩০ জুনের মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল নওদাপাড়া বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র দপ্তরকক্ষে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও রাজশাহী জেলা মোটর ইউনিয়নের অন্তবর্তকালীন কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও সড়ক পরিবহন গ্রুপের নেতৃবৃন্দের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল ছেড়ে নগরীর শিরোইল এলাকায় রাস্তার উপরে সারি সারি করে বাস রাখা হয়। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটি কাম্য নয়। এজন্য শিরোইল থেকে বাস টার্মিনাল নওদাপাড়ায় স্থানান্তর করতে হবে। প্রয়োজনে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের উন্নয়ন করা হবে।
এরআগে মেয়র ও অন্তবর্তকালীন কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর নিকট হিসাব বিবরণী, আসবাবপত্র ও নথিপত্রসহ যাবতীয় দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। দায়িত্ব হস্তান্তরে পর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী পরিবহন সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি শাহনেওয়াজ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটোসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে বাস টার্মিনাল সরানোর ব্যাপারে আলোচনা করেন। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল নওদাপাড়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শাহু, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নূরুজ্জামান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ও মেয়র‘র একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে দায়িত্ব দেন। এরপর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৭ অক্টোবর নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১জন নেতৃবৃন্দকে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন