রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকা রুটের আগাম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত দুই দিন ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
এ স্টেশন থেকে আগামী ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকে আর কোনো আগাম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেলে ভ্রমণেচ্ছুরা আগাম টিকিট কাটতে পারছেন না। তবে সমস্যাটি সাময়িক বলছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে আগাম টিকিট কাটতে আসা সুলতান আহমেদ বলেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য তার চারটি টিকিট প্রয়োজন। এজন্য সকালে স্টেশনে টিকিট কাটতে আসেন তিনি। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
তবে সমস্যাটি সাময়িক বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুল করিম। শনিবার সকালে তিনি বলেন, গত দুইদিন থেকে আগাম টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের টাইম শিডিউলে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের নতুন করে আসন বিন্যাস করা হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেনের র্যাক।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঢাকা-রাজশাহী রুটের বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস, আন্তঃনগর ট্রেন সিলসিটি এক্সপ্রেস, আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর ট্রেন এক্সপ্রেস চলাচল করছে। বর্তমানে এই সবকটি ট্রেনের র্যাক পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর ফলে নতুন করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর আসন বিন্যাস হচ্ছে। তাই আসন বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই রুটের আগাম টিকিট বিক্রি করা যাচ্ছে না।
এছাড়া আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেন চলাচলের টাইম শিডিউলেও পরিবর্তন আসছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে চূড়ান্ত আসন বিন্যাস এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। চূড়ান্ত আসন বিন্যাস হাতে পেলে আবারও এই রুটের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
রাজশাহীর স্টেশন ব্যবস্থাপক আবদুল করিম আরও জানান, বর্তমানে একটি র্যাকের মাধ্যমে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুইদিক থেকে চলাচল করে। এতে ট্রেনটি কোনো কারণে একদিকে বিলম্ব ঘটালে পরদিন শিডিউল ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া মাত্র দু’টি র্যাক দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করছে সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামের তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন।
যে ট্রেনটি সিল্কসিটি হয়ে ঢাকায় যায় সেটি ফেরার সময় ধূমকেতু হয়ে আবার রাজশাহীতে ফেরে। বনলতার জন্য বিপরীতমুখী দুটি আলাদা র্যাক (ট্রেনের সব কোচ মিলে একটি র্যাক) না থাকায় বিরতিহীন ট্রেনটির শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে একটি অতিরিক্ত র্যাক যা ভারত থেকে আমদানিকৃত কোচের মাধ্যমে সংযোজন করা হচ্ছে। এছাড়া অন্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতেও নতুন কোচ সংযোজন বিয়োজন করা হচ্ছে।
নতুন র্যাকটি অপেক্ষমাণ থাকবে রাজশাহী স্টেশনে। ফলে রাজশাহীতে আন্তঃনগর মোট চারটি ট্রেনের জন্য চারটি র্যাক থাকছে। এতে কোনো একটি ট্রেনে রাজশাহীতে ফিরতে বিলম্ব করলে অপেক্ষমাণ র্যাকটি দিয়ে ফিরতি ট্রেনটি ঠিক সময়ে ছাড়া যাবে। আর এজন্যই বনলতায় ভারতীয় কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। অন্যগুলোর কোচও সংযোজন বিয়োজন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আবদুল করিম জানান।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ