রাজশাহী একটি অন্যতম নগর। এরই মধ্যে রাজশাহী গ্রিন, ক্লিন, এডুকেশন ও হেলদি সিটি হিসেবে উপাধি পেয়েছে। তাই এ সিটিতে যদি পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা হয় আর তামাকপণ্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় তাহলে হেলদি সিটির সঙ্গে এর কোনো সামঞ্জস্য থাকে না। তাই তামাকমুক্ত রাজশাহী নগর গড়ে তোলা এখন সময়ের ব্যাপার।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) উদ্যোগে এবং নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের আয়োজনে ‘তামাকমুক্ত ঘোষণা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। এজন্য তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে আগে ছোট ছোট এলাকা তামাকমুক্ত করতে হবে। তামাকের ভয়াল ছোবল থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে।
এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা’র রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শরীফ সুমনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।
এসিডির প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রাণী বিশ্বাসের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্থাটির তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুল।
অন্যদের মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান তৌহিদ, মুক্তিযোদ্ধা নারায়ন চক্রবর্তী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম খালিকুজ্জামান, মো. মতিউর রহমান চৈতি, এসিডির প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী মহানগর তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য গঠিত ইয়ূথ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক প্রমুখ।
পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়। যা নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাজার, হোটেল, বিভিন্ন দোকানে তামাকমুক্ত রাজশাহী নগর গড়ার প্রচারণা চালায়। এ সময় বিভিন্ন তামাকের দোকানে তামাক কোম্পানিগুলোর আইন বহির্ভূত বিজ্ঞাপন অপসারণসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে চলতে নির্দেশ দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ