রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগীর সন্ধান মেলে নি। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার এ বিভাগের আরো ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের করোনা চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে চারজনকে হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে নগরীর কাশিয়াডাঙা এলাকার একজন, চারঘাট উপজেলার একজন, পাবনার একজন ও নাটোরের একজন রোগী। করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ও রামেক হাসপাতালের করোনা চিকিৎসক টিমের আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে মঙ্গলবার আরো ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ৩ জনের, বাঘা উপজেলার ১ জনের, সিরাজগঞ্জের ৯, পাবনার ৮, বগুড়ার ৬, জয়পুরহাটের ৫ ও রামেক হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে থাকা ৪ জনের নমুনা। গত ১ এপ্রিল ল্যাবটি চালুর পর সাত দিনে মোট ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর মধে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা একজনের নমুনা করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। নিশ্চিত হবার জন্য তার নমুনাটি পরপর দুইদিন পরীক্ষ করা হয়। বগুড়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও ওই যুবকের বাড়ি রংপুর। বাসে যাত্রারত অবস্থায় করোনা সন্দেহে তাকে বাস থেকে বগুড়ায় নামিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের পরামর্শে তার নমুনা সংগ্রহ করে রামেকের করোনা ল্যাবে প্রেরণ করা হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন