রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগি শনাক্ত হয়েছেন। সোমবার নমুনা পরীক্ষা পর তার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর পর তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।
করোনায় আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়ি জেলার বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি গ্রামে। তার বয়স ২৬ বছর। তিনি নারায়াণগঞ্জ থেকে এসেছেন। সেখানে একটি তৈরি পোশাক কারাখানার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তিনি।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, আক্রান্ত ওই যুবক গত ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি জ¦রে আক্রান্ত হলে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ১১ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার নমুনা পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে। আক্রান্ত ব্যক্তি এখন বাড়িতেই আছেন।
সিভিল সার্জন জানান, এখনও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। যেহেতু তিনি আক্রান্ত এলাকা থেকে ফিরেছিলেন সে জন্যই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতেই তার করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্ষে গিয়েছেন তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও ওই যুবক আসার পর কোথাও গেছে কি না তা খতিয়ে দেখা পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে রোববার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ঢাকার শ্যামলী এলাকায় একটি দোকানে দর্জির কাজ করতেন। এই ব্যক্তিই রাজশাহী বিভাগের মধ্যে প্রথম কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন