প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা, নারায়গঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন সরকারী আদেশ মানছেন না। যেখানে সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। ফলে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায়। কেউ গোপনে, কেউবা আবার প্রকাশেই ঘুরছেন গ্রামের অলিগলিতে। স্থানীয় প্রশাসন এদের ব্যাপারে তেমন কোন সঠিক তথ্যও পাচ্ছে না। ফলে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তারা ঘুরছেন এলাকায়। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি জেলার বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিদের ব্যপারে কেউ তেমন সঠিক তথ্য না দেয়ায় তাদের চিহিৃত করা কঠিন হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে আসা ৬৭ জন ব্যাক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
জানা যায়, দেশে প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে এলাকাবাসীসহ জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানালেও এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের তালিকা দেয়নি। এতে করে স্থানীয় প্রশাসনও বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিদের চিহিৃত করতে পারছে না। ফলে বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিরা মিলেমিশে যাচ্ছে বসবাসকারীদের সঙ্গে। শুধু বাইরে থেকে আসা ব্যাক্তিরাই সরকারী আদেশ মানছে না এমনটা নয়, স্থানীয়রাও সরকারী আদেশ মানছেন না। সন্ধ্যার পরে জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রাস্তাঘাট, বাজারে ঘুরছেন অবাধে। পুলিশ দেখলে দৌড়ে পালালেও পুলিশ চলে যাবার পরে আবারো ভিড় জমছে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়। এতে করে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় তো থাকছেই না। বরং সরকারী আদেশকে করা হচ্ছে অমান্য।
এছাড়াও ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে গিয়েও নিরাপদ দুরুত্ব মানছেন না এলাকাবাসী। গায়ের সঙ্গে গা ভিড়ে লাইনে দাড়িয়ে নিচ্ছেন টিসিবির পন্য। অপর দিকে ভোর থেকে সকাল সাড়ে সাত টা পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসানো হচ্ছে চায়ের স্টল। এসব চায়ের স্টলে ভ্যান চালক, ট্রাক চালকসহ বিভিণ্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গুলো করছেন ভিড়। এতে চরম আতঙ্ক কাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এসব ভিড় জমানো লোকজনের দেহে করোর সংক্রমন আছে কিনা কেউ জানে না। তবে যদি থাকে তাহলে চারঘাটে চরম আতঙ্ক ধারন করবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কলেজের শিক্ষক দাবি তকরেছেন। এতে করো ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, ইতিমধ্যে সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাইরের জেলায় থেকে আগতদের নামের তালিকা দিতে। নামের তালিকা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্য দিকে সন্ধ্যার পরে যারা অযথা বাড়ীর বাইরে বের হচ্ছেন তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে আর্থিক দন্ড প্রদান করা হচ্ছে। তবে প্রানঘাতি করোনা মোকাবেলায় সকলকে নিজেদের থেকেই সরকারী আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন