নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার লকডাউন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সুপারিশ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সকল সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে কোয়ার্টার লকডাউন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এ আদেশ জারি করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে কর্যকর আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে কেউ প্রবেশ বা বের হতে পারবেনা। তবে খাবার চিকিৎসা এবং খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ আওতামুক্ত থাকবে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে রাজশাহীর চার জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা ঢাকায়। রাতেই ঢাকা থেকে রাজশাহীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।
নতুন চার জন আক্রান্তদের মধ্যে একজন রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনিই রাজশাহীর আক্রান্ত প্রথম স্বাস্থ্যকর্মী। মোছা: মাহমুদা বেগম নামের ৫০ বছর বয়সের এই স্বাস্থ্যকর্মী পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি হেড নার্সের দায়িত্ব পালন করছেন। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। তাদের নিয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ার্টারে থাকেন। তবে তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া উৎস এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, হেড নার্স মাহমুদা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব স্থানে যাতায়াত ছিল। এ জন্য বুধবার পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটার লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই সঙ্গে হাসপাতালের কার্যক্রম সিমিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও সম্প্রতি তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেয়াসহ নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল আরও চার জন আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হওয়ার পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ছয় জন নারী ও সাত জন পুরুষ। এদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুরে চার জন ও বাঘা উপজেলায় এক জন, তানোরে এক জন ও পবায় এক জন। এদের মধ্যে রোববার সকালে বাঘার আব্দুস সোবহান মারা যান।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন