সোমবার ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে রাজশাহীর আদালতসমূহে মোট ১৫০ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩২ জন, মহানগর দায়রা জজ আদালত ২৫ জন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪৮ জন এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪৮ জন আসামীকে জামিন প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়। নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, উল্লিখিত ই-মেইল আইডিতে জরুরি জামিন আবেদন, সংশ্লিষ্ট দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা (সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সদস্য নম্বর, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর) স্ক্যান করে সফটকপি ভার্চুয়াল আদালতে দাখিল করতে হবে।
আদালতের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এর ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্ট জারি করা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে এই কোর্ট গঠন করার নির্দেশনা আসে। এদিকে ভার্চুয়াল কোর্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হওয়ার মাঝেই গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
আসামির জামিন শুনানির ক্ষেত্রে সারাদেশেই ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে রাজশাহীতে ভার্চুয়াল ভোটে অংশ নিতে অপারগতা জানান এডভোকেট বার সমিতির নেতারা। তবে বেশ কয়েকজন উদ্যমী আইনজীবীর উদ্যোগে দুদিন ধরে রাজশাহীতেও ভার্চুয়াল কোট পরিচালিত হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন