ঘূর্ণিঝড় আম্পান রাজশাহীরসহ বরেন্দ্র অঞ্চলেও ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। বুধবার রাত ৮টার পর থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। চলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত।
এতে রাজশাহীর অঞ্চলের সবজি ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামে বাড়িঘরের টিন উড়িয়ে ফেলেছে। অনেক স্থানে মাটির কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। ভেঙ্গে পড়েছে শত শত গাছপালা। ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তারও। এতে বুধবার রাত থেকে রাজশাহী অঞ্চলে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তবে, সবচেয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ধান ও সবজি চাষীরা। বোরো ধান কৃষকের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ঘরে উঠাতে পারলেও বাকি ৩০ ভাগ ধান এখনো ক্ষেতেই পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। মাটিতে পাকা ধান হেলে পড়ার কারণে ধানে টেঁক ধরতে পারে বলে কৃষকেরা শঙ্কা করছেন।
এদিকে জেলার তানোর, মোহপুর ও বাগমারা উপজেলা এলাকায় সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছে। সঙ্গে সরকারী রাস্তার গাছ ও ব্যাক্তিমালিকাধীন শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে।
তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের কয়েকজন সবজি চাষী জানান, তাদের পটল, শষা, কলার মাচা ভেঙ্গে গাছ ছিড়ে ছিটকে পড়েছে। এতে অনেক কৃষক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। তারা সরকারী ভাবে ক্ষয়-ক্ষতির প্রণোদনা আশা করেন।
গ্রামের মাটির বাড়ির চাল উড়িয়ে ফেলেছে। অনেক স্থানে মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। জেলার তানোর উপজেলায় বেশি বাড়ি ঘরের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, তার পৌর এলাকার অনেক স্থানে বাড়িঘরে টিন উড়ে গেছে, কোথাও মাটির দেয়াল ভেঙ্গে পড়ার খবরও আছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তালিকা করে সরকারের ত্রাণ মন্ত্রলায়ে পাঠানো হবে।
তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমশের আলী বলেন, ঘূর্ণিঘড় আম্পানের প্রভাব এ অঞ্চলেও পড়েছে। তবে কৃষকরা বোরো ধান প্রায় ৯০ ভাগ ঘরে উঠায় কৃষকেরা ক্ষতিটা অনেক কম হয়েছে। তবে সবজি ক্ষেতের অনেক বাহান হেলে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এগুলোর তালিকা করা হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন