সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে ভিড়। ঈদের ছুটি হলে তো কথাই নেই। বিনোদন পিপাসু মানুষের যেন ঢল নামে। তবে এবারে কনোনাকালিন ঈদ ছিল অন্যরকম। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল না মানুষের আনাগোনা।
মহানগরীর শহীদ জিয়া শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, একটু দূরেই থাকা সীমান্ত অবকাশ, সীমান্তে নোঙর, শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এবং ভদ্রা শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থী শূণ্য থাকায় বিরাজ করছিল শ্মশানের নিরাবতা।
অন্য ঈদগুলোতে আবহাওয়া যাই হোক না বিনোদন পিপাসুদের কোনোভাবেই চার দেয়ালের মাঝে আটকানো যায়নি। ঈদের আনন্দ উপভোগের করতে একযোগে বেরিয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবারের চিত্র আলাদা। রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল লকডাউন।
নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকার বাবুল হোসেনের তিন বছরের মেয়ে নুহা। ঈদের দিনে জেদ ধরেছিল পদ্মার ধারে বেড়াতে যাবে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে তার পিতা-মা তাকে নিয়ে যায়নি বেড়াতে। শেষে বাড়ির ছাদেই ঘুরাঘুরি করে ঈদ পার করতে হয়েছে তাকে।
বাবুল হোসেন বলেন, বেঁচে থাকলে আরো ঈদ পাওয়া যাবে। কিন্তু এ মহামারিতে প্রাণ নিয়ে টানাটানি। সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে সবার আগে।
নগরীর নওদাপাড়া এলাকার আঁখি আইরিনের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া তানভির। প্রতি ঈদে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে যায়। কিন্তু এবার বায়না ধরেও লাভ হয়নি। বাড়িতেই কাটাতে হয়েছে ঈদের দিন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন