রাজশাহীতে একদিনে ৪জন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে তাদের নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। আক্রান্তরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্মরত আছেন। নিজনিজ কর্মক্ষেত্র থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে আরো ১৩ জনের নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। যাদের মধ্যে পাবনার ১০জন ও নাটোরের ১৩ জন। এদিন রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাদের মধ্যে ২১ জনের নমুনায় করোনা ধরা পড়ে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবের দেয়া সূত্র মতে, শুক্রবার ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৮জনের নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। আর এই ৮জনের মধ্যে ৭জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।
আক্রান্তরা হলেন, রামেক হাসপাতালের নার্স জেসমিন (২৮)। নওগাঁ জেলার বিপুল (৬৪), তিনি রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা পুলিশ হাসপাতালের আয়া কাজল (৩৮), নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিনা আক্তার (৪৪), একই এলাকার আলিফ লাম মিম (৪২), সিটি কর্পোরেশনের রিসিপশনিস্ট আয়েশা আক্তার (২৬), নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও সিটি কর্পোরেশনের মশক বিভাগের পরিদর্শক সানাউল্লাহ (৬০) এবং বাগমারা উপজেলার আকলিমা (৪০)। তার জামাই করোনা আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। তার সংস্পর্শে আশায় আকলিমার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে জেসমিন (২৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং) কর্মরত আছেন। তার পরিবার নগরীর একটি এলাকায় ভাড়া থাকেন। তবে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেসমিনের মতো সকল নার্স ও চিকিৎসকদের পৃথক ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছে শুরু থেকেই। কাজল (৩৮) কাজ করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের হাসপাতালে। তিনি সেখানে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিক্ষানবিশ দুই জন এসপিসহ একজন ঢাকা ফেরত পুলিশের একজন নারী কন্সটেবলের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তখন থেকেই কাজল ওই হাসপাতালে কর্মরত। তিনিও নগরীতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
সেলিনা আক্তার (৪৪) কাজ করেন নগরীর একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। দায়িত্ব অনুসারে সেলিনা আক্তার নগরীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রসূতি মাসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। পরিবার নিয়ে বসবার করেন নগরীতেই। সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের রিসিপশনিস্ট আয়েশা আক্তার (২৬)। তিনি সিটি কর্পোরেশনের নিচ তলায় অবস্থিত রিসিপশনে কর্মরত। থাকেন নগরীতে। আক্রান্তদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করেছেন এবং এলাকায় ও বাজারেও গেছেন। সংস্পর্শে এসছেন সহকর্মীসহ পরিবারের সকলের।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন