নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডে (নেসকো) করোনা হানা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রবিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকোর এক হিসাব রক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দিনে দিনে এ সংখ্যা বাড়ায় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নেসকোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
নেসকো রাজশাহী অফিসের তথ্য অনুযায়ি, কয়েকদিন আগে নেসকো রাজশাহী অফিসের ডিভিশন-৩ এ ২৬ জন করোনা পরীক্ষা করায়। ওই ২৬ জনের মধ্যে ১৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একসঙ্গে এতো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর করোনা পজিটিভ আসায় নেসকো রাজশাহী অফিসের ডিভিশন-৩ লকডাউন করা হয়েছে।
টানা বৃষ্টির দিনগুলোতে বিদ্যুতের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। নানান কারণে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনাতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিতদের। এমন দিনে গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে করোনা।
গ্রাহকের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে করোনাকালের শুরু থেকেই নেসকো আগের মতোই মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। এতে করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে তারা। নেসকোর অনেকেই এখন করোনায় আক্রান্ত।
নেসকো রাজশাহী অফিস সুত্র জানায়, শুধু রাজশাহী অফিসেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ জনের বেশি হবে। সারা উত্তরাঞ্চলে এ সংখ্যা অনেক। এতো সংখ্যাক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে কাজের বিঘ্ন ঘটছে। সময়মতো গ্রাহকদের চাহিদা পূরণেও তারা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
শনিবার দিবাগত রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের সিনিয়র হিসাবরক্ষক আতাউর রহমান (৫৩) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
আতাউর রহমান নওগাঁ জেলার পোরশা থানার তিতারপুর গ্রামের মৃত কাজী মজির উদ্দিনের ছেলে।
সিভিল সার্জন জানান, ‘গত ১৪ জুলাই করোনা করোনা পজিটিভ অবস্থায় শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন আতাউর রহমান। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামেক হাসপাতালের করোনার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।’
সিভিল সার্জন আরও জানান, ‘আতাউর রহমানের করোনার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও অতিরিক্ত স্থূলতাও ছিল। নঁওগা জেলার পোরশায় গ্রামের বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’
নেসকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন জানান, খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন তারা। নেসকোতে কর্মরতদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন আরো জানান, অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ অবস্থায় বিদ্যুৎসেবা স্বাভাবিক রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন