বিরূপ আবহাওয়া কাটছেই না বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। দিনভর তাপপ্রবাহ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
গেলো কয়েকদিন থেকে বৃষ্টির দেখা নেই! তাই ঈদের দিন থেকেই বৃষ্টির কামনা করছিল রাজশাহীবাসী। অবশেষে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টি নেমেছে তীব্র গরমের এই শহরে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলছিল সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। কখনও রোদ কখনও মেঘলা আবহাওয়া। সঙ্গে পূবালী বাতাস। তবে ঘড়ির কাঁটায় দুপুর দেড়টা বাজতেই যেন সন্ধ্যা নেমে আসে পদ্মাপাড়ের এই জনপদে। দমকা হাওয়সহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর দুইটায় এই খবর লেখা পর্যন্ত দমকা হাওয়া আর মেঘের গর্জনে বৃষ্টি চলছিল।
এতে নগরে খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। তবে বৃষ্টির পানিতে এরই মধ্যে নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফলে সাময়িক জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বৃষ্টির সময় সড়কে যানবাহন চলাচল কমে আসে।
জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ আবহাওয়া কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মৌসুমি বায়ু আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার প্রভাবে দেশের অনেক জেলাতেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে। তার ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী দুইদিন রাজশাহীতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের অফিসে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে থেকে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হচ্ছে। এখনও মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। শেষ হলে এর রেকর্ডকৃত পরিমাণ জানা যাবে। এই ভারী বর্ষণে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহের অবসান ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের এই কর্মকর্তা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ