রাজশাহী মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বেড়েছে। শুক্রবার থেকে বাড়তি এই ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী ইজিবাইক মালিক শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে পয়লা জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। সে অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে প্রশাসন ও নগর সংস্থার সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভাড়া বাড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার অটোরিকশার চালকেরা পাঁচ টাকার ভাড়া হঠাৎ করেই আট টাকা চেয়ে বসায় অনেকে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় চালকেরা ইজিবাইক মালিক শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি থেকে তাদের কাছে সরবরাহ করা একটি ভাড়ার তালিকা দেখান।
এই তালিকা অনুযায়ী, নগরীর প্রতিটি রুটে আগের ভাড়ার সাথে তিন টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যেঅটো ভাড়া পাঁচ টাকাই রাখা হয়েছে। সমিতির বক্তব্য- বিগত দশ বছরে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী এখন সব অটোরিকশা একসঙ্গে রাস্তায় নামতে পারে না। পালাক্রমে গাড়ি চলাচল করে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে চালকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তবে ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলছেন নগরবাসী। যাত্রীদের বক্তব্য- অটোরিকশা চলাচল করে সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সে। তাই ভাড়া বৃদ্ধি করতে হলে সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনেরও মতামত দরকার। অটোরিকশার চালক-মালিক, সাধারণ যাত্রী, সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের যৌথসভায় আলোচনা করেই ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু এসবের কিছুই না করে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে ইচ্ছেমতো। এতে যাত্রীদের পকেট কাটা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরী ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন বলেন, এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তার জন্য সব রুটে তিন টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এটা খুব বেশি না। তাছাড়া ১০ বছর পর আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি। এটা যৌক্তিক। তিনি বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা কোন সিদ্ধান্ত না জানালেও আমাদের দাবির বিরোধীতা করেননি। তাই আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি।
রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ বলেন, ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একটা স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আলোচনা ছাড়া তো আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এটা হয়নি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন