সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই আরডিএ মার্কেট খুলে ব্যবসা শুরু করেছেন ব্যবাসায়ীরা। বাধা দিলেই রাস্তায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা।
এর আগে প্রথম দফা লকডাউন ঘোষণার পর গত ৬ এপ্রিল থেকে আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এবার কিছু দিন বন্ধ রাখার পর আবারও আরডিএ মার্কেট খুললেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া মার্কেটের সামনে অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও আগের মতো বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এসব ব্যবসায়ীদের দাবি তারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তাদের দোকানপাট খোলা রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় সব দোকানই খোলা। ব্যবসায়ীরা লকডাউন মানছেন না।
তবে প্রতিটি দোকানের সামনের অংশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। এছাড়া রাখা হয়েছে জীবাণুনাশক স্প্রেও। আর ব্যবসায়ীরা এখন মুখে মাস্ক পড়ে ব্যবসা করছেন। যদিও দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক ক্রেতাই জানেন না যে দোকান খোলা আছে। তাই ক্রেতা কম। জানাজানি হলে আগের মতোই ক্রেতা থাকবে বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের।
লকডাউন ভঙ্গ করে মার্কেটের দোকান খোলা এমন প্রশ্নে রাজধানী ফ্যাশানের শহীদুল ইসলাম বলেন, গতবছর ঠিক এমন সময় দেশে লকডাউন ছিল। এর মধ্যেই পহেলা বৈশাখ গেছে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা গেছে। তারা ব্যবসা করতে পারেননি। ঈদের জন্য যখনই পণ্য কিনে মজুদ করেছেন ঠিক তার পরপরই লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েন। এরপর টানা একটা বছর কেটে গেছে করোনায়। এ সময়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পুঁজি ভেঙে খেয়েছেন। এবছর আবার ঠিক ঈদের আগেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখন ব্যবসা করতে না পারলে তাদের পথে বসতে হবে। তাই না খেয়ে মারার চেয়ে করোনায় মৃত্যু হলেও ভালো।
এমন মন্তব্য কেবল শহীদুলের নয়, রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরই। তারা লকডাউনে দোকান বন্ধ না রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার পক্ষে। এজন্য তারা প্রশাসনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেই দোকান খুলেছেন। কেউ বাধা দিলে তারা সড়কে নেমে আন্দোলন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল সকালে দোকান খোলার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এর আগের দিন ৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, কঠোর লকডাউনের মধ্য আজও সড়কে কোনো গণপরিবহন দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে। এছাড়া পণ্য পরিবহনের ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বর, গোরহাঙ্গা রেলগেট, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, তালাইমারীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ যানবাহন চলাচল সীমিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এরপরও মহানগরীজুড়ে অনেক মানুষের চলাচলও দেখা গেছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ