শিগগিরই নতুন রূপ পাচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি। মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার (১৯ মে) বিকেলে সোনাদীঘির উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় সিটি মেয়র কাজের অগ্রগতি সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং দ্রুত গতিতে কাজ করার তাগিদ দেন।
সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামে একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী পাঁচ বছর কাজ বন্ধ থাকে।
২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র লিটন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আর সোনাদীঘি মসজিদকে সিটি সেন্টারের স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর সোনাদীঘি মার্কেট ভেঙে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে চলছে সোনাদীঘির পাড় ও মসজিদ নির্মাণ, দীঘির তলদেশের কাদামাটি উত্তোলন কাজসহ উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
‘সিটি সেন্টারেরও নির্মাণ কাজ চলমান আছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে।
দর্শনার্থীদের পাশাপাশি মহানগীর পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দীঘির চারপাশে পর্যাপ্ত বসার স্থান রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে সেখানে থাকবে আলোকায়ন ও ফোয়ারা।
এদিকে এদিন বিকেলে মহানগরীর সাহেব বাজারের মুড়িপট্টিতে বহুতল ভবন ‘বৈশাখী বাজার’ নির্মাণ কাজের অগ্রগতিও পরিদর্শন করেন মেয়র লিটন। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র ‘বৈশাখী বাজার’ এর বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন এবং কাজের অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শনকালে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান জীবন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. শামসুজ্জামান আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে পিপিপি এর আওতায় রাসিকের নির্মাণাধীন স্বপ্নচূড়া প্লাজা, বৈশাখী মার্কেট, সিটি সেন্টার ও দারুচিনি প্লাজার নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেন মেয়র লিটন। সভায় কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ