রাজশাহীর চারঘাটে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবারও (৮ জুন) বিকেলে নিশিতা খাতুন নামের সাত বছরের এক শিশুকে পাগলা কুকুর কামড়ে গুরুতর আহত করে। নিশিতা চারঘাট পৌরসভার হেমন্তের মোড় এলাকার ইয়ামুল আলীর মেয়ে।
ঘটনার সম্পর্কে তার পরিবার জানায়, নিশিতা বাড়ির পাশেই খেলছিল। এ সময় হঠাৎ একটি পাগলা কুকুর দৌড়ে লাফিয়ে পড়ে তার গায়ের ওপর। তার মুখে কামড় দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আস্করপুর, মুক্তারপুর ও হেমন্তের মোড় এলাকায় প্রায়শই এই ঘটনা ঘটে। দুদিন আগেও দুজনকে কামড়ে গুরুতর আহত করেছিল কুকুর। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সপ্তাহ খানেকের ঘটনা, মাহফুজ আহমেদ (২১) নামে এক যুবক চারঘাট পৌরসভার আস্করপুর এলাকায় বেড়াতে আসেন আত্মীয়র বাড়ি। বেড়াতে এসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন তিনিও। মাহফুজ উপজেলার রাওথা গ্রামের জয়নাল আলীর ছেলে বলে জানান তারা।
এছাড়া আস্করপুর এলাকার সৌরভ ও আল-মামুন ও মুক্তারপুর এলাকার আব্দুর রহমান ও সোবহান আলী নামে আরও চার ব্যক্তি কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও রোগ নিয়ন্ত্রক ডা. শংকর কুমার বলেন, ‘চারঘাটে কুকুরের কামড়ে আহতের ঘটনা বাড়ছে। এক সপ্তাহে আমরা দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বর্তমানে হাসপাতালে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবারাহ নেই। তবে কুকুর কামড়ালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে, নয়তো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।’
পাগলা কুকুর আতঙ্কের বিষয়ে চারঘাট পৌরসভার সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পাগলা কুকুর নিধনের কর্মসূচি আমাদের থাকে। তবে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। এরপরও বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা চলছে।’
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪