নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। একটি ম্যাচেও কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি। ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল-লিটন দাস থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেন। যার ফলে কিউইদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় মাশরাফি বাহিনীকে।
নিউজিল্যান্ডে এর আগেও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত কিউইদের নিখুঁত লাইন-লেন্থ আর গতির কাছেই পরাস্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এবারের সিরিজে মোহাম্মদ মিঠুনের দুটি অর্ধশতক ও শেষ ম্যাচে সাব্বির রহমানের সেঞ্চুরিটিই বাংলাদেশের প্রাপ্তি খাতায়।
তবে শুধু ব্যাটিংই নয়। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বোলিংটাও কঠিন। এমনটাই মনে করেন টেস্ট দলের সদস্য আবু জায়েদ রাহি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবার বাংলাদেশকে পড়তে হবে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের কিউইদের সামনে বল হাতে বেশ কঠিন পরিস্থিতে পড়তে যাচ্ছেন বোলাররা। তবে রাহির নজর কিউইদের ২০ উইকেটের দিকেই।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে লিংকনে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে একটি দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও কোন ভাবেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।
পেসার আবু জায়েদ রাহি জানান, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে বোলিং করাটা কঠিন। বলেন ‘এখানকার বাতাসটা ভারি। তাই বোলিং করতে কষ্ট হয়। ঠিক জায়গায় বল করা যাচ্ছে না। এদিক সেদিক হচ্ছে। তাই প্রস্তুতি ম্যাচে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবো আমরা। আর টেস্ট ক্রিকেটে আর্লি ব্রেক থ্রু টা খুবই জরুরি। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হলে ২০ টা উইকেট নিতে হবে। তাই চেষ্টা করবো প্রথমেই দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলতে।’
টেস্ট জয় কিংবা ড্র করতে হলেও মূল দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। লড়াই করতে একটি টেস্টের ১৫টি সেশন। তবে সেই কাজটি যে বাংলাদেশের জন্য সহজ হবেনা তা ওয়ানডেতে সিরিজের পারম্যান্সই বলে দেয়।
ইতিমধ্যে টেস্টের জন্য অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমে টেস্ট দলে না রাখা হলেও পরবর্তীতে সৌম্য সরকারকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাই ওয়ানডে সিরিজ শেষে মাশরাফি, শফিউল ও সাইফউদ্দিন দেশে ফিরলেও থেকে যান সৌম্য।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪