বাঙালির শেকড় গ্রামে। আর কোনো উৎসব এলেই নাগরিক বাঙালি উদযাপন করতে ছুটে যায় গ্রামে। বরাবরের মতো আসন্ন ঈদুল আজহাও স্বজন-প্রিয়জনদের সঙ্গে উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার রেল, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যায়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ১২ আগস্ট (সোমবার) ঈদের আগে শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অফিসে হাজিরা দিয়েই ঢাকা ছাড়বেন। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘরমুখো মানুষের স্রোত বাড়বে টার্মিনালে-টার্মিনালে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ৫৫টি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনে প্রায় সাড়ে ৫৯ হাজার যাত্রী নির্ধারিত আসনে বসে যাত্রা করতে পারবেন। পাশাপাশি বাস ও লঞ্চে করেও ঢাকা ছাড়বেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সকালে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন, বাস ও লঞ্চে দেখা যায়, যারা আগাম টিকিট কেটেছেন, তারাই এখন যাত্রা করছেন। নির্ধারিত আসনের বাইরে দাঁড়িয়ে ও ট্রেনের ছাদে চড়ে যাত্রা করতে দেখা যায়নি কাউকে।
এদিকে, সড়কে যানজট থাকায় ঢাকা থেকে বের হতে বাসের বেশ সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া যানজটের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও পৌঁছাতে যাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী একটি লঞ্চের যাত্রী মারজানা তুলি বলেন, ঢাকার বাসা থেকে সদরঘাটে পৌঁছাতেই কয়েকঘণ্টা লাগছে।
রাফি নামে এক যাত্রী বলেন, যে দুর্ভোগ হচ্ছে, সেটা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলেই কেটে যাবে। স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা অন্যরকম আনন্দের।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর