রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের দিকেও ধীরগতি আছে। তবে তীব্র যানজট নেই।
শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামী ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপনকে ঘিরে মহাখালীসহ ঢাকার বিভিন্ন বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালে এখন গ্রামমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, কোনো যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে দিন। আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকাল (শুক্রবার, ৯ আগস্ট) পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনসাধারণকেও বলবো, বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে।
সড়ক পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যানজট হচ্ছে পশুবাহী গাড়ি ও ভারী বৃষ্টির কারণে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ধীরগতির ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘরমুখো মানুষের বাড়ি পৌঁছাতে কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। আজও ধীরগতি আছে। তবে তীব্র যানজট নেই।
মন্ত্রী বলেন, যাত্রীরা এ ভোগান্তি মেনেই নেয়। এবার ডেঙ্গু আতঙ্ক থাকার পরও মানুষের বাড়ি যাওয়ার ঢল নেমেছে। ডেঙ্গু ভয় পায় না এদেশের মানুষ।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারাবছর কাজ করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে, অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ে বিএনপি অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ফটোসেশন আর সংবাদ সম্মেলন করেই ক্ষ্যান্ত। মাঠ পর্যায়ে এদের দেখা যায় না। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করছে, ছুটিছাটাও বাতিল করা হয়েছে। বিএনপির ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কেবল ফেসবুককেন্দ্রিক।
এসময় বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতুল্লাহ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর