৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর বাড়াচ্ছে না সরকার। গণপরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ১৫ জুন পর্যন্ত।
বুধবার (২৭ মে) এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সাধারণ ছুটি শেষ হলো। সীমিত আকারে অফিশিয়াল কর্মকাণ্ড চালু করার একটা প্রয়াস সরকার নিয়েছে। নাগরিক জীবনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবো। ৩১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
‘এক জেলা থেকে আরেক জেলায় চলাচলের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। প্রত্যেক জেলার প্রবেশপথ এবং বহির্গমন স্থাপন করা হবে।’
হাট-বাজার, দোকান-পাটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইন এবং ডিসট্যান্স লার্নিং (দূর শিক্ষণ) কোর্স চলবে। চলবে অনলাইনে বা ভার্চ্যুয়াল ক্লাস।
সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত এবং সেরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালতি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চালু করতে পারবে। তবে অবশ্যই বয়স্ক, অসুস্থ ও অন্তঃস্বত্ত্বা নারী কর্মকর্তারা অফিসে আপাতত অফিসে আসবেন না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া ১৩ দফা মেনে চলতে হবে।
কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না। যে যেখানে কাজ করছেন সেখানেই থাকবেন।
যেকোনো অফিসের সভা-সমাবেশগুলো ভার্চ্যুয়ালি করতে হবে।
সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে কর্মস্থলের যানবাহন ব্যবহার করে অফিসে যেতে পারেবেন এবং প্রয়োজনে হালকা যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন।
উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ ব্যবস্থাপনায় প্লেন চালাবে।
সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও ধর্মীয় অন্য উপসানালয়গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকাণ্ড চালু রাখতে পারবেন।
আগের মতই রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।
গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর সবশেষ ছুটি ৩০ মে শনিবার পর্যন্ত ঘোষণা করা ছিল। ছুটির কারণে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৭ মার্চ থেকে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ