২০০৩ সালে ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকার নিয়ে
তৎকালীন সরকার এ দিবসটি চালু করে।শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তাকেই শিক্ষক বলা হয়।শিক্ষকদের
জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদা একে অপরের পরিপূরক এবং বর্তমান সময়ে অতিগুরুত্বপূর্ণ
বিষয়।
কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত
করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন।
স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।
একজন শিক্ষক তিনি যিনি সমাজের বিবেক জাগিয়ে তুলেন, একজন ছাত্রের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করেন, তিনি সমাজ
বিনির্মাণের কারিগর, তিনি সমাজ এবং জাতির প্রয়োজনে আলোর দিশারী হিসেবে পথ দেখান এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার
করতে সর্বদা প্রস্তুত।
পিতা-মাতার পরই শিক্ষকের স্থান। পিতা-মাতা সন্তানকে জন্ম দেন। কিন্তু তাকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে
গড়ে তোলেন শিক্ষক। আমাদের ধর্মগুলোতে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই বলা বলা হয়,
পৃথিবীর যে দেশ শিক্ষকদের যতো বেশি মর্যাদা দিয়েছে সেই দেশ সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে ততো বেশি উন্নত।
একজন শিক্ষার্থীর মনন, মেধা ও আত্মশক্তির বিকাশ পরিশীলন ও উন্নয়ন প্রসার সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সমাজ গঠনে, দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বিশ্ব দরবারে নিজ দেশের গৌরবময় অবস্থান তুলে ধরতে
একজন আদর্শ শিক্ষকের অবদান একজন রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ বা সমাজনেতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
একজন শিক্ষক তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, আইনজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার
মানুষের শিক্ষক। অর্থাৎ তিনি কারিগর। তিনি সকলেরই শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র। তাই বলা যায়, একজন আদর্শ শিক্ষক দেশের শ্রেষ্ঠ
সন্তান ও শ্রেষ্ঠ মানুষদের মধ্যে অন্যতম।