তানিজা হায়দার। রাজশাহীর এই মেয়েটি পড়াশোনা করতেন পাবনা মেডিকেল কলেজে। তুখোড় মেধাবী এই ছাত্রীটি জীবনে কখনও সেকন্ড হননি। সর্বদা ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে শিক্ষকদের মধ্যমণি ছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের আদরের এই মেয়েটি অল্প বয়সেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ফাল্গুনে ঘুরতে বেরিয়ে বাসায় ফেরার আগেই প্রাণ গেছে মেডিকেল কলেজের এই ছাত্রী।
বন্ধুরা জানিয়েছেন, তানিজার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা। হাসিখুশি এই মেয়েটি সবসময় ক্লাসে ফার্স্ট হতো। ক্লাসের সবার সঙ্গেই ভালো আচরণ করতো তানিজা। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না সহপাঠীরা।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি ওবায়দুল হক বলেন, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন তানিজা। সারাদিন ঘুরে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তানিজা। আহত তানিজার বয়ফ্রেন্ডকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম