পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী তানিজা হায়দার নিহত হয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। এখবর যখন তার বাড়িতে পৌঁছল তখন এসএসসি পরীক্ষার প্রস্ততি নিচ্ছিছলেন বোন তামিমা হায়ার।
বোনের লাশ বাড়িতে পৌঁছলে তার পরীক্ষার সময় হয়ে যায়। তাই লাশ বাড়িতে রেখেই চোখের জলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। তানিজাকে হারিয়ে তাদের পরিবারে এখন শোকের ছায়া বিরাজ করছে। মেধাবী ওই ছাত্রী পহেলা ফাল্গুনে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তার এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
তানিজার বাবা সাম্মাক হায়দার বন বিভাগ রাজশাহী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক। আর মা মোর্শেদা বেগম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। দুই বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তানিজা। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পান মেধাবী তানিজা।
২০১৪ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পাস করেন এসএসসি। ২০১৬ সালে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এসএসসি এবং এইচএসসি দুটি পরীক্ষায় তিনি গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। এরপর ২০১৬ সালেই পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন তানিজা।
তানিজার ছোট বোন তামিমা হায়দার এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তার পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। প্রিয় বোনের লাশ বাসায় রেখেই তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে যান।
বোনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তামিমার কণ্ঠরোধ হয়ে আসে। তামিমা সাংবাদিকদের বলেন, বোন তানিজা ছিলেন আমার অভিভাবক-বন্ধু সবকিছু। তিনি ছিলেন অনুসরণ করার মত একজন মানুষ। আমার কাছের আদর্শের প্রতীক তিনি। ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ আর বিনয়ী।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম