রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যায়নরত অবস্থায় হঠাৎ ক্যাম্পাস ছেড়ে পলায়ন করেছেন পাঁচ নেপালি শিক্ষার্থী। গত ৯ জানুয়ারি তারা মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরি থেকে ওয়ার্ডেনকে না জানিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান।
এ বিষয়ে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আশাদুল ইসলাম।
পলায়ন করা শিক্ষার্থীরা হলো- ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মাহাতো, সুজান পারাজুলি, মিলন কুমার মোকতার, বিনোদ লামিছানে ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিলা জুং রায়া মাঝি। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘তারা ওয়ার্ডেনকে না জানিয়ে কোন অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস ত্যাগ করে হঠাৎ চলে গেছে। পরে ওয়ার্ডেন আমাকে এ বিষয়ে লিখিত জানায়। এরপর জানতে পারছি যে তারা এখানে এডজাস্ট করতে পারছিল না তাই চলে গেছে। নেপালি ছাত্র আনন্দ কুমার সাহা ওই শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না।’
এদিকে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা নেপালে পৌঁছে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে আনন্দ কুমার সাহা নামের নেপালী শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই অনিয়মিত ছিল। বিভাগে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় চলে যেতে পারে।’
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. বিমল কুমার প্রামাণিকও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে একই কথা জানান।
ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘তারা অফিশিয়াল বুকে না জানিয়ে ডরমিটরি ত্যাগ করে। পরে তাদের বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়েছি, এদের মধ্যে দুজন অস্ট্রেলিয়াতে অফার পেয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সহপাঠীদের তারা বলেছে, তারা আর পড়বে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন বলেন, ‘তারা এখনো আমাকে ভর্তি বাতিল বা পড়বে না সে বিষয়ে লিখিত দেয়নি। এছাড়া বিভাগ থেকেও জানানো হয়নি। লিখিত দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব। তারা যদি আবার ফিরে আসে তাহলে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন